প্রথম ইনিংসে করেছিলেন চোখ ধাঁধানো ডাবল সেঞ্চুরি। এজবাস্টনে ম্যাচের চতুর্থ দিনেও তিন অংক ছুঁলেন ভারতের অধিনায়ক। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি পেলেন শুভমান গিল। দুই সেঞ্চুরিতে অনন্য সব রেকর্ডের মালিক হয়েছেন এই ভারতীয় ব্যাটার।
এজবাস্টনে প্রথম ইনিংসে গিল করেছিলেন ২৬৯ রান। দ্বিতীয় ইনিংসেও হেসেছে গিলের ব্যাট। চতুর্থ দিনে পেয়েছেন ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ১৬১ রানের ঝকঝকে এক ইনিংসে খেলেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন গিল।
এই টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে গিলের রান ৪৩০। এক টেস্টে তার চেয়ে বেশি রান আছে শুধু একজনেরই। ১৯৯০ সালে লর্ডসে ভারতের বিপক্ষে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪৫৬ রান করেছিলেন ইংল্যান্ডের গ্রাহাম গুচ। প্রথম ইনিংসে তিনি করেন ৩৩৩ রান, দ্বিতীয় ইনিংসে গুচের ব্যাট থেকে আসে ১২৩ রান।
এক টেস্টে ভারতীয় ব্যাটারদের সর্বোচ্চ রান ছিল ৩৪৪। ১৯৭১ সালে পোর্ট অব স্পেনে সুনীল গাভাস্কার প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ১২৪ রান, পরের ইনিংসে করেন ২২০ রান। ৫৪ বছর পর তার রেকর্ড ভাঙলেন গিল।
টেস্ট ইতিহাসে দেশের বাইরে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড এখন গিলের। গিল ছাড়িয়ে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার মার্ক টেলরকে। ১৯৯৮ সালে পেশোয়ারে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪২৬ রান করেছিলেন টেলর।
টেস্ট ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এক টেস্টের দুই ইনিংসেই ১৫০ ছাড়ালেন গিল। গতকালের আগ পর্যন্ত এই রেকর্ড ছিল শুধুই অস্ট্রেলিয়ার অ্যালান বোর্ডারের। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ১৯৮০ সালে লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন অপরাজিত ১৫০ ও ১৫৩ রান।
৯ম ব্যাটসম্যান হিসেবে একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও ডাবল সেঞ্চুরি পেলেন গিল।
গিলের রেকর্ড গড়ার দিনে রেকর্ড গড়েছে ভারতও। এজবাস্টন টেস্টে ভারতের মোট রান ১০১৪। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের প্রথমবার এক ম্যাচে হাজার রান পেরোল ভারত। ভারতের আগের সর্বোচ্চ রান ছিল ৯১৬, ২০০৪ সালে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
সব দল মিলিয়ে এক ম্যাচে কোনো দলের এক হাজারের বেশি রান করার ঘটনা আছে মাত্র ৬টি। সর্বোচ্চ ১১২১ রান ইংল্যান্ডের, ১৯৩০ সালে কিংস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।