ইসরায়েলের সঙ্গে সামরিক সংঘাত শুরুর পর প্রথমবার জনসমক্ষে হাজির হয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
শনিবার (৫ জুলাই) তেহরানে আশুরার আগের রাতে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন তিনি। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল প্রেস টিভি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
খামেনি গত ১৩ জুন সংঘাত শুরুর পর থেকে প্রকাশ্যে ছিলেন না। ওই দিন ইসরায়েল হঠাৎ করে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর বিমান হামলা চালায়। এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরবর্তীতে একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন।
প্রেস টিভির প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, খামেনি কালো পোশাক পরিহিত জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়ছেন এবং উপস্থিত শোক পালনকারীরা স্লোগান ও করতালিতে তাকে স্বাগত জানাচ্ছেন। এ দিনটি শিয়া মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। হযরত ইমাম হুসাইন (রা.)-এর শাহাদাতের স্মরণে দিনটি পালিত হয়।
খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান ১২ দিনের সংঘাত চলাকালীন সময় খামেনি একটি বাংকারে অবস্থান করছিলেন এবং বাইরের জগতের সঙ্গে তার যোগাযোগ সীমিত ছিল। এ সময় ট্রাম্প ও ইসরায়েলি নেতারা প্রকাশ্যে খামেনেইকে অপসারণের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।
এমনকি, ইসরায়েলের তরফে খামেনেইকে হত্যার একটি পরিকল্পনা প্রস্তাব করা হয়েছিল বলে জানা যায়, যদিও তা পরবর্তীতে বাতিল করা হয়। জুনের শেষদিকে ট্রাম্প বলেন, ‘খামেনি একজন সহজ লক্ষ্য’। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও সরাসরি বলেন, ‘খামেনিকে হত্যা করলে সংঘাত বাড়বে না বরং তা শেষ হবে।’
যুদ্ধবিরতির কয়েকদিন পর একটি অজ্ঞাত স্থান থেকে ভিডিও বার্তায় খামেনেই দাবি করেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইরান বিজয় অর্জন করেছে। তিনি ট্রাম্পের নির্বিচার আত্মসমর্পণের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘এই যুদ্ধ আমাদের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে নয়, বরং ইরানকে আত্মসমর্পণ করানোর চেষ্টা। ট্রাম্প তার বক্তব্যে আসল চেহারা উন্মোচন করেছেন। আমেরিকার সমস্যা ইসলামি রাষ্ট্র ইরানের অস্তিত্ব নিয়েই।’