নোয়াখালী: ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিটটি বন্ধ করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে কিডনি রোগী এবং তাদের স্বজনরা। এ সময় তারা ষড়যন্ত্রকারী কুচক্রিমহল ও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত একজন চিকিৎসকের বিচার দাবি করেন।
সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করে তারা।
মানববন্ধন থেকে রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, গত ২০১৮ সালে আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ থেকে পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য মেশিন-পত্র এনে একটি আধুনিক ল্যাব’সহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে একটি কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিট স্থাপন করা হয়। এরপর থেকে প্রতিমাসে এ সেন্টারে নোয়াখালী ছাড়াও লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও কুমিল্লার লাকসামের অংশের হাজার হাজার রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। খরচ কম হওয়ায় গরীব রোগীরা এ ডায়ালাইসিস ইউনিটে ভর্তি হন। কিন্তু এ চিকিৎসা প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে করতে গেলে লাখ লাখ টাকা খরচ হবে, যেটি আমাদের পক্ষে সম্ভব না।
তারা অভিযোগ করে বলেন, ইউনিটটিতে ডা. শাহিদুল ইসলাম সাকিব যেদিন থেকে যোগদান করেন সেদিন থেকে তিনি ভর্তি রোগী ও তাদের স্বজনদের সাথে অশালিন আচারণ শুরু করেন। তিনি এখানে রোগীদের ভালো চিকিৎসা না দিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বলেন। একই চিকিৎসক বিভিন্ন রোগীদের মৃত্যু কামনা করেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী জানান, গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুদকের অভিযানের পর কিডনি ইউনিটে দায়িত্বরত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেদের সম্মানহানি হয়েছে বলে আমাদের জানিয়েছেন। মানুষের উপকার করতে গিয়ে তারা এমন পরিস্থিতিতে পড়বেন এমনটা আশা করেননি। আমরা আপাতত ইউনিটটি বন্ধ করছি না। তবে সরকারিভাবে ইউনিটটি পরিচালনার জন্য জনবল ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র না পাওয়া যায় তাহলে এটি চালানো সম্ভব হবে না।