ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, দেশের ছয়টি ব্যাংকের সম্পদের মান পর্যালোচনা করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি ব্যাংক একীভূত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। একীভূত করার আগে সব ব্যাংকের সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনা করা হবে। কোনো ব্যাংক যদি একীভূত না হওয়ার ব্যাপারে যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারে, তাহলে তাদের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে। তবে মনে হচ্ছে, এসব ব্যাংক সেটি করতে পারবে না।
সোমবার (৭ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের এক জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যাংক আমানতকারীদের উদ্দেশে গভর্নর বলেন, সব আমানতকারীর অর্থ সুরক্ষিত আছে। ছোট আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে পারছে না, তাদের কেন বন্ধ করা হবে না- তা জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান টিকে থাকতে পারবে না।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ঝুঁকিভিত্তিক তদারকি (আরবিএস) ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে পুরোনো তদারকি কাঠামো ভেঙে ১২টি বিভাগে ভাগ করা হবে। এর মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে সার্বক্ষণিক তদারকির মধ্যে রাখা হবে। এর মাধ্যমে সব ধরনের আর্থিক তদারকি করা হবে।
এ ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজনৈতিক ঝুঁকি রোধ করা সম্ভব হবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, ‘এই তদারকি ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলা করা যাবে না। রাজনৈতিক ঝুঁকি কমাতে হলে রাজনীতিকে পরিশুদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংককে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে। এ জন্য কাজ চলছে। আমরা সেই প্রস্তাব নিয়ে সরকারের কাছে যাব।’
তিনি বলেন, রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন না হলে তদারকি ব্যবস্থাও ব্যাংকের ঝুঁকি কমাতে পারবে না। যে রাজনৈতিক দল ব্যাংক খাতকে দুর্বল করে গেছে, তাদের পরিণতি সবাই দেখেছেন। বিশৃঙ্খলা তৈরি করে সাময়িক উপকার মিললেও রাজনৈতিক দলের জন্য শেষ বিচারে তা ভালো হয় না। এ জন্য রাজনৈতিক দলের প্রভাবমুক্ত ব্যাংক খাত গড়ে তোলা হচ্ছে।