ঢাকা: উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত সম্প্রসারণে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ।
সোমবার (৭ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের দশম দিনের আলোচনা শেষে এ কথা বলেন তিনি।
আলী রিয়াজ বলেন, ‘জনগণের দোরগোড়ায় বিচারব্যবস্থা পৌঁছাতে একমত হয়েছে সব দল। তবে ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে যেসব উপজেলা জেলা সদরের কাছাকাছি, সেখানে আদালত স্থাপনের বিপক্ষে মত দিয়েছে দলগুলো।’
তিনি বলেন, ‘কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, উপজেলা সদরের ভৌগোলিক অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য, জেলা সদর থেকে দূরত্ব ও যাতায়াতব্যবস্থা, জনসংখ্যার ঘনত্ব ও বিন্যাস এবং মামলার চাপ বিবেচনা করে কোনো কোনো উপজেলায় স্থায়ী আদালত স্থাপন করা প্রয়োজন, তা নির্ধারণ করতে হবে। বর্তমানে যেসব উপজেলায় চৌকি আদালত পরিচালিত হয়, সেগুলোকে বিবেচনায় নিয়ে সবগুলো চৌকি আদালতকে স্থায়ী আদালতে রূপান্তরিত করা প্রয়োজন নাকি সে ক্ষেত্রেও পুনর্বিবেচনা ও পুনর্বিন্যাসের সুযোগ রয়েছ, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবে। বাস্তব পরিস্থিতির নিরিখে উপজেলা সদরে স্থাপিত কোনো আদালতের জন্য একাধিক উপজেলাকে সমন্বিত করে অধিক্ষেত্র নির্ধারণ করার প্রয়োজন হলে তা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।’
আলী রিয়াজ বলেন, ‘এই বিষয়গুলোতে অনেক দল একমত হয়েছে। এটা আমাদের আজকের আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।’
তিনি বলেন, ‘আলোচনায় কয়েকজন নেতা উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত স্থাপন করা হলে দুর্নীতি বাড়বে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন। কিন্তু আলোচনার ভিত্তিতে আমরা একমত হতে পেরেছি।’
আলী রিয়াজ বলেন, ‘দ্বিতীয় আরেকটি বিষয়ে হচ্ছে, জরুরি অবস্থা সংশোধন। রাজনৈতিক সুবিধার জন্য জরুরি অবস্থা যেন ব্যবহার করা না হয়, সে বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে।‘
ড. রীয়াজ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) আবারও আলোচনা হবে। এদিন নারী প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে আলোচনা করা সম্ভব হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আজকের আলোচনা সফল হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে ধন্যবাদ জানাই তারা দলীয় কার্যক্রমের বাইরে সময় দিয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত আছেন— কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং ড. আইয়ুব মিয়া।