Tuesday 08 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকার বাতাসে স্বস্তির নিঃশ্বাস, দূষণে শীর্ষে কায়রো

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৮ জুলাই ২০২৫ ১২:১১

বায়ু দূষণ। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: বছরের বেশিরভাগ সময় দূষণের তালিকায় শীর্ষে থাকা ঢাকা শহর এবার বিরল এক স্বস্তির মুহূর্তে পৌঁছেছে। আষাঢ়-শ্রাবণের বর্ষায় ধুলা-ধোঁয়ার স্তর কিছুটা ধুয়ে যাওয়ায় রাজধানীর বাতাস এখন সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক পরিবেশ পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ঢাকার বায়ুমান সূচক (AQI) ছিল মাত্র ৫০, যা ‘সহনীয়’ বলে বিবেচিত হয়। গতকাল সূচকটি ছিল ৫৫। এই সূচক অনুযায়ী বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান এখন ৬৫তম, যেখানে কয়েক মাস আগেও এই শহর ছিল শীর্ষ দশে।

ঢাকায় বর্ষাকালে বৃষ্টিপাতের কারণে বায়ুদূষণ সাধারণত কিছুটা হ্রাস পায়। বাতাসে ভেসে থাকা অতিক্ষুদ্র ধুলিকণা (PM2.5) ধুয়ে যায়, ফলে মানুষের শ্বাসপ্রশ্বাসে কম দূষণ প্রবেশ করে। তবে পরিবেশবিদরা বলছেন, এ স্বস্তি হয়তো সাময়িক। কারণ মৌসুম শেষে নির্মাণকাজ, যানজট ও শিল্পকারখানার কারণে দূষণ ফের বাড়বে।

বিজ্ঞাপন

আজকের আইকিউএয়ার তালিকায় সবচেয়ে দূষিত শহর হিসেবে উঠে এসেছে মিশরের কায়রো, যেখানে AQI রেকর্ড হয়েছে ১৬০। এটি ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাসের স্তরে পড়ে।

তালিকার পরবর্তী দূষিত শহরগুলো হলো:

দুবাই (১৬০)
কাম্পালা (১৫৩)
কিনশাসা (১৫১)
কাবুল (১৩৭)

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বলছে, বায়ুদূষণ বিশ্বজুড়ে অন্যতম ঘাতক স্বাস্থ্যঝুঁকি। গৃহস্থালি ও পরিবেশগত দূষণের কারণে প্রতিবছর মৃত্যু হয় ৬৭ লাখ মানুষের।

একইসঙ্গে, ২০২৩ সালে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল (BMJ)–এ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, জীবাশ্ম জ্বালনি থেকে নির্গত বায়ুদূষণই বিশ্বজুড়ে বছরে প্রায় ৫২ লাখ মৃত্যুর জন্য দায়ী।

পরিবেশ মন্ত্রণালয় এরইমধ্যে দূষণ নিয়ন্ত্রণে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে:

-নির্মাণস্থানে ছাউনি ও পানির ছিটা বাধ্যতামূলক
-পরিবহনকালে নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখতে হবে
-ধোঁয়াযুক্ত যানবাহন ও ইটভাটায় বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখতে হবে
-সংবেদনশীল ব্যক্তিদের (শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ) জন্য মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ
-ঢাকার বায়ু সাময়িকভাবে সহনীয় হলেও এটিকে দীর্ঘমেয়াদি অর্জনে পরিণত করতে হলে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। শহরকে বাসযোগ্য রাখতে হলে দূষণ নিয়ন্ত্রণে মৌসুমভিত্তিক স্বস্তির বাইরে গিয়ে চাই নিয়মিত নজরদারি ও কঠোর বাস্তবায়ন। না হলে, এই সাময়িক স্বস্তি আবারও নিঃশ্বাসকে বিষিয়ে তুলবে।

সারাবাংলা/এফএন/এসডব্লিউ

বায়ু দূষণ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর