Tuesday 08 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ৩৫ শতাংশ শুল্ক চূড়ান্ত নয়: অর্থ উপদেষ্টা


৮ জুলাই ২০২৫ ১৪:৪৭ | আপডেট: ৮ জুলাই ২০২৫ ১৪:৫৩

মঙ্গলবার সচিবালয়ে ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’র বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ – (ছবি : সংগৃহীত)

ঢাকা: বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ৩৫ শতাংশ শুল্ক চূড়ান্ত নয়- বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ওয়ান টু ওয়ান নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে এটা ঠিক হবে। এ লক্ষ্যে আগামীকাল (বুধবার) ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির দফতরের (ইউএসটিআর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের বৈঠক হবে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সচিবালয়ে ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’র বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের বাণিজ্য উপদেষ্টা আছেন। এছাড়া আজই একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল যাচ্ছে। অনুষ্ঠেয় ওই বৈঠকের পর আমরা বুঝতে পারবো। কারণ, যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, সেটা ঠিক অফিশিয়াল…।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে কি কোনো উন্নতি হওয়ার আশা করা যায়- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আশা করি। যাই হোক, সেটার পরিপ্রেক্ষিতে অন্যান্য পদক্ষেপগুলো নেবো। এখন পর্যন্ত বৈঠকটা মোটামুটি পজিটিভ। গত ৬ জুলাই একটা মিটিং হয়েছে, সেটা মোটামুটি পজিটিভ।

চিঠি তো ইতোমধ্যে ইস্যু হয়ে গেছে- সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন কথা বলা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ওটা প্রেসিডেন্ট দিয়েছেন। এটা ফাইনাল না। এটা ওয়ান টু ওয়ান নেগোসিয়েশনে ঠিক হবে। চিঠি তো বহু আগে দিয়ে দিতো, ৩৫ শতাংশ। এইটা আবার ১৪টা দেশের জন্য বলছে একই। কিন্তু ওয়ান টু ওয়ান নেগোসিয়েশন হবে, সেজন্যই তো ইউএসটিআর’র সঙ্গে কথা বলা। এটা ফাইনাল না।

ভিয়েতনাম চেষ্টা করে ২৬ শতাংশ কমিয়েছে, বাংলাদেশের কেন মাত্র ২ শতাংশ কমানো হলো। তার মানে কি নেগোসিয়েশন ভালো হয়নি- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, না, না নেগোসিয়েশন….। আমাদের বাণিজ্য পার্থক্য মাত্র ৫০০ কোটি ডলার। ভিয়েতনামের ১২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। ওখানে ওরা কনসেশন দিতে পারে, মানে রাজি হয়েছে। কিন্তু আমাদের এত কম পার্থক্য, এতে এতো শুল্ক দেওয়ার তো জাস্টিফিকেশন থাকে না।

তিনি বলেন, ওরা যেটা করছে ব্ল্যাঙ্কেট কতগুলো করেছে। চায়নার জন্য আলাদা। একেবারে চায়নার একটা সিঙ্গেল হ্যান্ডেলে ডিল করে ওরা। আর বাকিরা… এটা যেটা করেছে ১৪টা দেশের একই বলেছে। এখন আমরা নেগোশিয়েট করবো।

চিঠিতে যে সমস্ত কন্ডিশন দেওয়া হয়েছে এগুলো কি ফুলফিল করা সম্ভব? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এখন তো আমি কিছু বলতে পারবো না।

রাজস্ব আয় নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এবার কালেকশন যা হয়েছে- মোটামুটি, একেবারে বিরাট গ্যাপ না। আর আগামী বছর চেষ্টা করছি শুধু ট্যাক্স, ভ্যাট না দিয়ে সিস্টেমটা চেঞ্জ করলে দেখবেন কালেকশনটা অনেক বেশি হবে। লিকেজ হবে না, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আতাঁত করে কিছু করতে পারবে না। আমাদের ট্যাক্স ক্যাপাসিটি ভালো, কিন্তু আমরা সেটা ইউটিলাইজ করতে পারিনি। সে কারণে রেভিনিউ কিছুটা শর্ট।

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর