ঢাকা: হাওর অঞ্চলের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় একটি পূর্ণাঙ্গ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করেছে সরকার। পরিকল্পনায় প্রাথমিকভাবে পাঁচটি হাওরে বাঁধ নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ, টেকসই পর্যটন ও নীতিমালা প্রণয়নসহ চারটি মূল উদ্যোগ বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘হাওরের সংকট ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা জানান পরিবেশ বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, “হাওরের ইকোসিস্টেম বিশ্বে এক অনন্য নিদর্শন। এটিকে সুরক্ষিত করা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব। হাওরের সীমানা নির্ধারণ করে কৃষিজমি থেকে মাটি উত্তোলনসহ পরিবেশবিধ্বংসী কার্যক্রম দ্রুত বন্ধ করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, হাওর অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় ‘ভাসমান হাসপাতাল’ চালু করাও সময়ের দাবি। পাশাপাশি হাওরের মাছের উৎপাদন ও আহরণে একটি সুনির্দিষ্ট ও আধুনিক নীতিমালার প্রয়োজনীয়তার কথাও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সাংবাদিক, গবেষক, উন্নয়নকর্মী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা হাওরকে জাতীয় সম্পদ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে এর সুরক্ষায় সম্মানজনক ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
তাদের মতে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাওর অঞ্চল জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আগাম বন্যা ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হলে তার প্রভাব পড়ে জাতীয় অর্থনীতিতে।
সেমিনারে হাওর উন্নয়নে নীতিগত সংহতি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনার উপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।