ঢাকা: আন্দোলনে সম্পৃক্ততার কারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ২০০ আয়কর কর্মকর্তা। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া দেওয়া এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের দুই শতাধিক নেতা ও কর্মকর্তাও ক্ষমা চেয়েছেন।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের কাছে প্রতিষ্ঠানটির আয়কর বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের কর্মকর্তারা ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এনবিআর সদস্য বেলাল চৌধুরি সারাবাংলাকে এ তথ্য জানান।
হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো এক বার্তায় এনবিআর সদস্য (মূসক বাস্তবায়ন ও আইটি) মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী জানান, ‘প্রায় দু’শোর মতো আয়কর ক্যাডার কর্মকর্তা চেয়ারম্যানের কাছে ব্যাচভিত্তিক ক্ষমা চেয়েছে। এসব ব্যাচের মধ্যে ৪০, ৩৮, ৩৩, ৩১, ৩০, ২৯, ২৮ ব্যাচের কর্মকর্তা বেশি ছিল। ফলে মাঠের কাজে সুষ্ঠু পরিবেশ ও শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।’
তিনি আরও জানান, ‘অবশেষে চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চাইলেন ঐক্য পরিষদের দুই শতাধিক নেতা ও কর্মকর্তা।’ একইরকম তথ্য জানান এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল আমিনও।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন নেতা সারবাংলাকে বলেন, ‘এখন সবাই আতঙ্কে আছেন। চাকরি চলে যাবার ভয়ে আছেন। এনবিআর ভবনে বা ঢাকায় এখনো আছি। কতক্ষণ থাকতে পারব তার ঠিক নেই। সে কারণে সবাই আতঙ্কিত। তাই সবাই এখন ব্যাচ ধরে ক্ষমা চাচ্ছেন। ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি আমি শুনেছি।’
অপর আরেকজন সারাবাংলাকে বলেন, ‘এনবিআর বিলুপ্তির আন্দোলনে সবাই সম্পৃক্ত ছিলেন। যেহেতু আন্দোলনটি এক সময় চেয়ারম্যানের বিপক্ষে চলে যায় এখন সবাই হয়তো স্যারের কাছে যাবেন। চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে, ক্ষমা প্রার্থনা করে, যতটা নমনীয় করা যায়, সে চেষ্টা চলবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনকে বাধ্যতামূলক অবসর ও বদলি দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনে সম্পৃক্ত অনেকের পেছনে দুদক লেগেছে। যাতে পালটা আর কোনো স্টেপ নেওয়া না হয়, সেই আন্দোলনের কারণে আর যেন কোনো অ্যাকশন না হয়, সেটি এখন চাওয়া।’