নোয়াখালী: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের প্রধান সড়কটি গত বছরের বন্যা ও সাম্প্রতিক ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ভাঙা ও খানাখন্দে ভরা এই সড়কে প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।
এলাকাবাসী সড়কটি মেরামতের জন্য জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার আবেদন করেও কোনো ফল পাননি। অবশেষে, একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় স্থানীয় লোকজন প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়ক স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করছেন।
সরজমিনে দেখা গেছে, নোয়াখালী-ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের বেগমগঞ্জ উপজেলার সরুগো পোল থেকে দূর্গাপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রধান সড়কটি শুধু দূর্গাপুর নয়, পার্শ্ববর্তী সোনাইমুড়ী ও সেনবাগ উপজেলার লোকজনের যাতায়াতের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সড়কটি সরুগো পোল-বোর্ড অফিস, কুতুবপুর, রাজাপুর, আবদুল্যারহাট, দীঘিরজান ও নাটেশ্বর এলাকার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে। প্রতিদিন শত শত ছোট-বড় যানবাহন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে।
স্থানীয়রা জানায়, গত বছরের বন্যা ও চলতি বছরের ভারী বৃষ্টিপাতে প্রায় ৫ কিলোমিটারের সড়কের ৩ কিলোমিটার খানাখন্দে ভরে গেছে। এর আগেও সড়কটি ভাঙাচোরা অবস্থায় ছিল। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই সড়ক ব্যবহারকারীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। স্থানীয়রা একাধিকবার জনপ্রতিনিধিদের কাছে সড়কটি মেরামতের জন্য গেলেও কোনো সুরাহা হয়নি। অবশেষে, উপজেলার শামীমা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ-এর চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিনের সহযোগিতায় স্থানীয় জনগণ স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কটি মেরামতের কাজ শুরু করেছেন।
হাসান নামে একজন পথচারী জানান, সড়কের বেশিরভাগ অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এই সড়ক দিয়ে একবার যাতায়াত করলে শরীর ব্যথা হয়ে যায়, আর বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়েন।’
এছাড়াও, প্রতিদিনই সড়কের ভাঙা অংশে যানবাহন উলটে দুর্ঘটনা ঘটছে। গত শনিবার ( ৫ জুলাই) দুপুরে একটি রঙবাহী গাড়ি গর্তে উলটে পাশের পুকুরে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত চালক ও হেলপারকে উদ্ধার করে
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর এলজিইডি’র বেগমগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া জানায়, মেরামত যোগ্য সড়কগুলোর তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলমান রয়েছে। তালিকা তৈরি হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হবে। বরাদ্দ আসলে কাজ শুরু করা হবে।