ঢাকা: ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মতো একটি গৌরবোজ্জ্বল গণঅভ্যুত্থানের পরও গত ৬ মাসে ৫২৯টি রাজনৈতিক সহিংসতায় ৭৯ নিহত ও ৪ হাজার আহত হওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে কোনো পরিববর্তন আসে নাই।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের নিয়মিত বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘একটি চেতনাদীপ্ত রক্তস্নাত অভ্যুত্থানের পরে দেশের রাজনীতিতে এই সহিংসতার মূল কারণ আমাদের অসুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি। এই ৫২৯টি সহিংসতার ঘটনার ৪৪৫টিই বিএনপির অন্তঃকোন্দলে ও বিএনপির সঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের। এই যখন দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের সহিংস প্রবণতা, তখন আগামী নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে আমাদের অবশ্যই শঙ্কিত হতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি সুস্থ করতে এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় দেশের সকল নাগরিকের মতামতের প্রতিফলন নিশ্চিত করতে পিআর নিয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এক ধরনের ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। তবে, পদ্ধতিটি বাংলাদেশে আগে চর্চা না হওয়ায় কোনো কোনো বিষয়ে প্রশ্ন থেকে গেছে।’
ইউনুছ আহমাদ জানান, পিআর নিয়ে এই ধরনের প্রায়োগিক প্রশ্নের সমাধান খুঁজতে এবং দেশের শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী ও অংশীজনদের মধ্যে বোঝাপড়া আরও নিবিড় করতে আগামী ১২ জুলাই গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে। বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সমাজের নানা পেশার অংশীজনেরা সেই গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেবেন।
আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমাদ আবদুল কাইয়ুম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) শাহ ইফতেখার তারিক, কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক মুফতি কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক আবুল কাশেম, কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মকবুল হোসেন, কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক কেএম শরীয়াতুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সহ-দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট বরকত উল্লাহ লতিফ প্রমুখ।