Wednesday 09 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহতের মরদেহ হস্তান্তর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৯ জুলাই ২০২৫ ০৮:৩৪ | আপডেট: ৯ জুলাই ২০২৫ ০৮:৩৬

নিহতের মরদেহ হস্তান্তর করছে ভারতীয় পুলিশ।

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা সীমান্তের ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে নিহত সোনা চোরাকারবারী ইব্রাহীম হোসেনের মরদেহ ৬ দিন পর ভারতীয় পুলিশ দর্শনা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ সময় বিজিবি ও বিএসএফের পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মরদেহটি মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ৮টার পর চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা জয়নগর ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে হস্তান্তর করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ অধিনায়ক মেজর আসিব মাহমুদ জানান, দর্শনা সীমান্তের ৭৬ নম্বর পিলারের কাছে বিজিবি-৬ ব্যাটালিয়ন দর্শনা কোম্পানি কমান্ডার ও ভারতের ৩২ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের গেদে কোম্পানি কমান্ড্যান্টের উপস্থিতিতে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর থানা পুলিশ, দর্শনা থানা পুলিশের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করে।

বিজ্ঞাপন

দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর জানান, যথাযথ আইন ও নিয়ম মেনেই মরদেহ নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মরদেহ হস্তান্তরের সময় চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ অধিনায়ক মেজর আসিব মাহমুদ ও ভারতের বিএসএফের ৩২ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট সুজিত কুমার উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সুলতানপুর সীমান্তের অপর পাশে ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে ইব্রাহীম হোসেন বাবু (৩০) নামের এক স্বর্ণ চোরাকারবারী নিহত হন। নিহত ইব্রাহীম হোসেন বাবু একই উপজেলার ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের মাদ্রাসাপাড়ার নুর ইসলামের ছেলে। বিজিবির সূত্রমতে, ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২ জুলাই) দুপুর ১২টা ৫০ মিনিট থেকে ১টা ১০ মিনিটের মধ্যে।

নিহতের পরিবার ও তার বাবা নুর ইসলাম জানান, তার ছেলে ইব্রাহীম হোসেন বাবু ওই দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গরুর জন্য ঘাস কাটার উদ্দেশ্যে সীমান্ত সংলগ্ন গালার মাঠে যায়। এ সময় ভারতের নদীয়া জেলার গেদে ক্যাম্পের বিএসএফ ৭৯ নম্বর খুঁটির কাছ থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে সে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে শুনতে পাই ছেলে ইব্রাহীমের মরদেহ বিএসএফ সদস্যরা ওপারে নিয়ে গেছে।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে.কর্ণেল নাজমুল হাসান ঘটনার দিন জানান, খবরটি পাওয়ার পর ভারতের ৩২-বিএসএফের কমান্ড্যান্ট সুজিত কুমারকে ফোন দিলে তিনি জানান, এদিন দুপুরে কয়েকজন বাংলাদেশি স্বর্ণ পাচারকারী সীমান্তের ৭৯ নম্বর মেইন পিলারের ২০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এ সময় বিএসএফের টহলদলের ওপর তারা আক্রমণ করলে বিএসএফ তাদের ধাওয়া করে, ওই সময় একজন গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। কোনো বাংলাদেশি নিহত হওয়ার বিষয়টি বিএসএফের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই সময় বিজিবিকে নিশ্চিত করেনি বলে তিনি জানান।

সারাবাংলা/এনজে

গুলি নিহত বিএসএফ ভারতীয় পুলিশ মরদেহ হস্তান্তর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর