ঢাকা: জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খানের চিকিৎসার জন্য নির্দেশনা চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করা আবেদনের ওপর শুনানি আজ।
বুধবার (৯ জুলাই) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
ফারুক খানের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. মুস্তাফিজুর রহমান খান বলেন, কারাগারে থাকা সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খানের স্বাস্থ্যগত তথ্য ও চিকিৎসার বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। এর পরিপ্রেক্ষিতে একটি প্রতিবেদন দেন কারা কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে আজ শুনানি হবে।
এর আগে, ৪ জুন ফারুক খানের জামিন ও চিকিৎসা সংক্রান্ত আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে নতুন দিন ঠিক করেন আদালত। শুনানিতে ফারুক খানের স্বাস্থ্যের ওপর কারা কর্তৃপক্ষের দেওয়া প্রতিবেদন তুলে ধরেন এই আইনজীবী।
তিনি বলেন, ‘ফারুক খানকে সর্বশেষ ২০ এপ্রিল ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছিল। তখন তিনি একা একাই চলতে পেরেছেন। কিন্তু এখন তিনি একা চলাফেরা করতে পারেন না। তার অবস্থার অবনতি ঘটেছে।’
মুস্তাফিজুর রহমান খান বলেন, ‘কারাবন্দিদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। ফারুক খান সব সময় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। জামিন দিয়ে তাকে সিএমএইচে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দেওয়ার এখতিয়ার এই ট্রাইব্যুনালের রয়েছে।’
এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘ফারুক খানের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে। কারাগারে তার চিকিৎসা চলছে। কারা কর্তৃপক্ষ বলেনি, তাকে চিকিৎসা দিতে পারবে না। তবে বাইরের সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসকের সেবা নিতে চাইলে, সেই সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।’
গত ৯ মে ফারুক খানের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশনা চেয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শুনানি চলমান রয়েছে।