ঢাকা: পারস্পরিক শুল্ক সংক্রান্ত দ্বিতীয় দফা আলোচনায় আজ বুধবার (০৯ জুলাই) বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর)। আগামী শুক্রবার (১১ জুলাই) পর্যন্ত এ আলোচনা চলবে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৭ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৪টি দেশের নেতাদের কাছে চিঠি পাঠানোর পর আলোচনা পুনরায় শুরু করা প্রথম দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় জানিয়েছে, বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়া বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন ওয়াশিংটন ডিসিতে সরাসরি উপস্থিত থাকবেন। তবে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন।
এছাড়া আলোচনায় যোগ দিতে বাণিজ্য সচিব ও একজন অতিরিক্ত বাণিজ্য সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন।
বাংলাদেশ আশা করছে, গত ২৭ জুন অনুষ্ঠিত প্রথম দফার আলোচনার অগ্রগতির ওপর ভিত্তি করে দ্রুত একটি চুক্তি সম্পাদন করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে বাংলাদেশি পণ্যের উপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে, যা প্রাথমিকভাবে প্রস্তাবিত ৩৭ শতাংশের চেয়ে সামান্য কম। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক আরোপ ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের রফতনিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভিয়েতনামের মতো প্রতিযোগীদের তুলনায় বাংলাদেশ আরও সুবিধাজনক শর্তের দাবিদার। ভিয়েতনামের ওপর সম্প্রতি ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত নতুন শুল্কহার কার্যকর হওয়ার সময়সীমা আর পেছাবে না বলে গতকাল মঙ্গলবার (৮ জুলাই) নিজের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টের এক পোস্টে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, আগামী ১ আগস্ট থেকেই এসব শুল্ক পরিশোধ করা বাধ্যতামূলক হবে এবং কোনো ধরনের ছাড় বা সময়সীমা বৃদ্ধির সুযোগ থাকবে না।
ওই পোস্টে তিনি বলেন, গতকাল যেসব দেশের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে এবং আজ, আগামীকাল ও সামনের কিছুদিনেও যেসব চিঠি পাঠানো হবে, সবগুলোতে পরিষ্কার বলা আছে—শুল্ক সংগ্রহ শুরু হবে ২০২৫ সালের ১ আগস্ট থেকে। এই তারিখে কোনো পরিবর্তন আসেনি এবং আসবেও না। অর্থাৎ, ১ আগস্ট থেকেই সব অর্থ পরিশোধযোগ্য হয়ে যাবে। কোনো ধরনের সময় বাড়ানো হবে না।