চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে রাতভর বর্ষণের পর সকালেও বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। বৃষ্টির মধ্যে গন্তব্যে যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে কর্মজীবী এবং শিক্ষার্থীদের। বৃষ্টির পরিমাণ আরও বেড়ে পাহাড় ধসের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
বুধবার (৯ জুলাই) থেকে কখনো অঝোর ধারায়, আবার কখনো থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে চট্টগ্রাম নগরীসহ আশপাশের এলাকায়। এতে নগরীর কয়েকটি এলাকায় পানি জমে সড়ক ডুবে গেছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই মূলত চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। রাতে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছিল।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সকাল ৯টা পর্যন্ত এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
তবে এতো বৃষ্টিতেও চট্টগ্রামে ব্যাপক জলাবদ্ধতার খবর পাওয়া যায়নি। নগরীর জিইসি মোড়, চকবাজার, কাতালগঞ্জ, কাপাসগোলা, বাদুরতলা, বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদ এলাকায় কোথাও কোথাও সড়ক ও অলিগলির রাস্তা পানিতে ডুবে গেছে। তবে কোথাও আগের মতো হাঁটু কিংবা কোমরসমান পানি জমে থাকার অবস্থা এখনও সৃষ্টি হয়নি।
এরপরও বৃষ্টির মধ্যে সকালে কর্মস্থল ও স্কুল-কলেজে যাবার জন্য বের হয়ে অনেককেই ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। বিশেষ করে বৃষ্টির কারণে সকালে গণপরিবহন কম থাকায় ভোগান্তি বেশি হয়েছে।

বৃষ্টির মধ্যে অনেককেই ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। ছবি: সারাবাংলা

বৃষ্টির কারণে রাস্তায় পানি জমে যান চলাচলেও সংকট তৈরি হয়েছে। ছবি: সারাবাংলা
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মাহমুদুল আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এটা অন্ত:ত আরও এক-দুইদিন অব্যাহত থাকবে।’
এদিকে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে চট্টগ্রামসহ দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। চট্টগ্রাম বিভাগে বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা আছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম, ঢাকা ও খুলনা মহানগরের জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করা হচ্ছে।