ঢাকা: শেখ হাসিনার পাশাপাশি আওয়ামী লীগেরও বিচার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (৯) সকালে রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এবং অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদকে দেখার পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘আপনারা খুব ভালো করে জানেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নির্যাতন-হত্যা-গুম-খুনের সবচেয়ে বড় ভিক্টিম আমাদের দল বিএনপি। আমি নিজেও ১১২টা মামলা এবং ১৩ বার জেলে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। আমরা সব সময় মনে করি যে সমস্ত রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদের পক্ষে থাকবে, যারা ফ্যাসিবাদের পক্ষে কাজ করবে, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ কাজ করেছে তাদের প্রতিটি ব্যক্তির শাস্তি হওয়া প্রয়োজন তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত এবং শাস্তি হওয়া উচিত।”
তিনি বলেন, ‘‘বিশেষ করে আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা তিনি এককভাবে আমি মনে করি দ্যা রেসপোসিবল ফর দ্যা কিলিং অব দ্যা থাউজেন্টস অব পিপল। তার বিচার শুরু হয়েছে, আমরা আশাবাদী তার এবং তার সঙ্গে যারা গণহত্যার ও এই ফ্যাসিস্ট আক্রমণের সঙ্গে জড়িত তাদের প্রত্যেকেরেই বিচার হবে এবং সেই হিসেবে দল যদি আইনের আওতায় নিয়ে এসে দলও যদি দেখা যায় দলগত হিসেবে তাদের বিচার হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।”
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে যখন দেশের মানুষের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে তখন একটি মহল এটার বিরোধিতা করে নানা ধরনের বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন এ ব্যাপারে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?- এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘আমি এই কথাগুলোর উত্তর কত বার দিয়েছি। দুইদিন আগেও আমরা সংবাদ সম্মেলন করেছি। একটা কথা বলতে চাই, গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে বিএনপি এবং সবচেয়ে বেশি লড়াই যদি করে গণতন্ত্রের জন্য সেটা বিএনপি। বাংলাদেশে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বিএনপি নিয়ে এসেছে বহুদলীয় গণতন্ত্রে এবং পরবর্তিকালে সংসদীয় গণতন্ত্রে।”
‘‘সুতরাং এই বিষয়ে প্রশ্ন করার কোনো প্রয়োজন নেই। একটি জিনিস কী? দেশটাকে সকলে মিলে বাঁচাতে হবে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হচ্ছে দেশকে সঠিক ট্র্যাকে ওঠানো এবং যত দ্রুত সেটাকে ওঠানো যাবে ততই মঙ্গল’’- বলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘‘যারা মনে করে যে, নির্বাচন প্রয়োজন নেই আমার মনে হয়, তারা আবার চিন্তা করবেন। নির্বাচন প্রয়োজন জনগণের জনগণের জন্য। একটা নির্বাচিত সরকার দরকার যে সরকার জনগণের সম্পর্ক থাকবে। সেই কারণেই আমরা বলছি যে সংস্কারগুলো সেই সংস্কারে আমরা অংশ নিচ্ছি। প্রত্যেকটি সংস্কারের দাবি আমরাই তুলেছি। সুতরাং সংস্কার এবং নির্বাচন এরমধ্যে কোনো সাংঘর্ষিকতা নেই, দুইটা এক সঙ্গে চলবে।”