ঢাকা: আরও দু’টি পোশাক কারখানা সুবজ কারখানার (গ্রিন ফ্যাক্টরি) তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ফলে দেশে সবুজ কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫০টি। এর মধ্য দিয়ে সবুজ পোশাক কারখানার দিক থেকে বাংলাদেশ আরও একটি মাইলফলক স্পর্শ করেছে।
বুধবার (৯ জুলাই) পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। নতুন করে তালিকায় যুক্ত কারখানা দু’টি হচ্ছে- গাজীপুরের এভিটেক্স অ্যাপারেল লিমিটেড ও সাভারের আসওয়াদ কম্পোজিট মিলস লিমিটেড- ইউনিট-২।
ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিজাইন (এলইইডি) গ্রিন ফ্যাক্টরি বা সবুজ কারখানার সার্টিফিকেশন দিয়ে থাকে। সর্বশেষ ২০২৪ সালে অন্তত ২৬টি পোশাক কারখানা সবুজ কারখানায় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছিলেন বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল।
বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল সারাবাংলাকে বলেন, ‘সুবজ কারখানার দিক থেকে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য। বাংলাদেশে এই সংখ্যা প্রতিনিয়তই এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ যে অবকাঠামোগতভাবে শক্তিশালী ও পোশাক কারখানা নিয়ে অনেক কাজ করছে, এখানে যে অনেক বিনিয়োগ করেছি, সেটিই প্রমাণ হচ্ছে। আমরা এখন শুধু পোশাক কারখানা-ই তৈরি করছি না, সবুজায়নে জোর দিচ্ছে। ফলে বাংলাদেশে কাজ দিতে ক্রেতারা কিছুটা হলেও বেশি আকৃষ্ট হন। সবুজ কারখানায় এগিয়ে থাকার কারণে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরও বেশি এগিয়ে নেবে।’
এদিকে শীর্ষ ১০০টি সবুজ কারখানার মধ্যে বাংলাদেশেই রয়েছে ৬৮টি। একক দেশ হিসেবে অন্য কোনো দেশে শীর্ষ ১০০টি সবুজ কারখানার মধ্যে ১০টিও নেই। পাকিস্তানে আছে সাতটি। উএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) তথ্যমতে, দেশে এখন সবুজ কারখানা ২৫০টি। এর মধ্যে প্লাটিনাম ক্যাটাগরির ১০৫টি, গোল্ড ১৩১টি, সিলভার ১০টি ও সার্টিফাইড ক্যাটাগরির চারটি। এ ছাড়া, ৫৫০টির বেশি কারখানা গ্রিন ফ্যাক্টরি হতে রেজিস্ট্রেশন বা পাইপলাইনে রয়েছে।
উল্লেখ্য, সবুজ কারখানার তালিকায় বাংলাদেশের পরের অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া।
