ঢাকা: ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, তৃতীয় কোনো দেশের কথা চিন্তা করে নয়, অর্থনৈতিকসহ ১২টি ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়েছে তিন দেশ। কারণ, বাংলাদেশ ও চীনের দ্বি-পক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় ক্ষেত্রে সমান স্বার্থ রয়েছে। এটি বিবেচনায় নিয়ে কুনমিংয়ে ত্রি-পক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার ( ৯ জুলাই) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে ‘চায়না-বাংলাদেশ শিল্প ও সরবরাহ চেইন সহযোগিতা’ শীর্ষক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারটির আয়োজন করে চায়নিজ এন্টারপ্রাইজ অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ -সিএইবি। সেখানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় ক্ষেত্রে চীন ও বাংলাদেশের সমান স্বার্থরক্ষার অধিকার রয়েছে। সে লক্ষ্যেই কুনমিংয়ে যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে, সেখানে ১২টি ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়েছে তিন দেশ। এসব ক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য, শিল্প, পরিবেশ, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, সংস্কৃতি সহযোগিতা ইত্যাদি। তিন দেশের সহযোগিতার ভিত্তি হলো পারস্পারিক আস্থা। এই বৈঠক তৃতীয় কোনো দেশকে টার্গেট করে নয়।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে কুনমিংয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে। এই বৈঠকের পর চীন প্রথমে একটি বিবৃতি দেয়। পরে ধারাবাহিকভাবে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ পৃথক পৃথক বিবৃতি দিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করে।
এক প্রশ্নের উত্তরে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক নীতির পরিপ্রেক্ষিতে চীন সুরক্ষা পেতে কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকেও সুরক্ষার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সক্ষমতা রয়েছে। আশা করি বাংলাদেশ এটা কাটিয়ে উঠতে পারবে।
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা জামায়াতে ইসলামী ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী। সে লক্ষ্যেই এই বৈঠক হয়েছে। তবে সেখানে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়নি, কেননা নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণের বিষয়।