ঢাকা: এশিয়ার আঞ্চলিক সংযোগ জোরদার হওয়ার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড তাদের অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও গভীর করার উপায় খুঁজে চলেছে। বাণিজ্য, বিনিয়োগ, যোগাযোগ ও টেকসই উন্নয়নের মতো বিভিন্ন খাতে দুই দেশ পারস্পরিক সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে থাইল্যান্ড উইক ২০২৫।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক প্রেস কনফারেন্স ও উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়, যেখানে উভয় দেশের ব্যবসায়ী নেতা ও সরকারি কর্মকর্তারা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে থাই-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং বাংলাদেশ-থাই চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়, যা ব্যবসায়িক সহযোগিতা ও দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
গত এক দশকে থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যকার বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা মনে করছেন— এখনো অনেক সম্ভাবনা যথাযথভাবে কাজে লাগানো হয়নি।
প্যানেল আলোচনায় বক্তব্য দেন- শেলটেক গ্রুপ, এনভয় লিগ্যাসি, এনভয় টেক্সটাইলস ও গ্রিন টেক্সটাইলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলাদেশ-থাই চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-র পরিচালক মো. তানভীর আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডকে এখন নীতিগত আলোচনার বাইরেও এগিয়ে যেতে হবে। ব্যবসায়ীদের মধ্যকার যৌথ উদ্যোগ, জ্ঞান বিনিময় এবং অবকাঠামো ভাগাভাগির মাধ্যমে সম্পর্ককে সামনে এগিয়ে নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘থাই বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশে অপেক্ষা করছে দক্ষ ও তরুণ জনশক্তি এবং ক্রমবর্ধমান ভোক্তা বাজার। অপরদিকে, বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা থাইল্যান্ডের উন্নত প্রযুক্তি ও লজিস্টিক সুবিধা থেকে উপকৃত হতে পারে।’
প্যানেল আলোচনার সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ-থাই চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি শামস মাহমুদ। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ-থাই চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, থাই-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, থাই দূতাবাস, ঢাকা, এবং থাইল্যান্ডের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য উন্নয়ন বিভাগ।
প্রসঙ্গত, আগামী ১০, ১১ ও ১২ জুলাই রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে থাইল্যান্ড ইউক নামের এই প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।