নোয়াখালী: লঘুচাপের প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরে নোয়াখালীতে অতিভারী বৃষ্টি হলেও সেটি বুধবার (৯ জুলাই) রাত থেকে কিছুটা কমে এসেছে। তবে বৃষ্টি কমলেও জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে পড়েছে জেলার বাসিন্দারা। খাল ও ড্রেনগুলো দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না নামায় জলাবদ্ধতা দীর্ঘ হওয়ার শংকা করছে লোকজন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ভোর থেকে মাঝে মাঝে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মাইজদী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার রফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) মাইজদী অফিসে ৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে আগামী শনিবার (১২ জুলাই) পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৪৬৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যার মধ্যে সদর, কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জের ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২৬৮টি পরিবারের লোকজন আশ্রয় নিয়েছে। জরুরি প্রয়োজনের জন্য ১০১ টি মেডিকেল টিম ও ৮ হাজার ৭১১ জন সেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মজুত রাখা হয়েছে শুকনো খাবার ও ত্রাণ সামগ্রী।
এদিকে গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণের কারণে, হাতিয়া ছাড়া জেলার আটটি উপজেলায় ও পৌর এলাকাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকার বেশিরভাগ সড়ক পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। মাইজদীতে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের সামনে এখনও পানি রয়েছে।
২০২৪ সালের আগস্টের বন্যার পর এক বছর শেষ হলেও খালগুলো দখল মুক্ত ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল করতে না পারায় প্রশাসনের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন জেলাবাসী।