ঢাকা: রাজধানীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের উপরে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী মেহেরুন্নেছা ভুমি (২২) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অপর মোটরসাইকেল চালক রোকনুদ্দিন আহমেদ রানা (৪৫) সহ দুইজন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গুলিস্তান ফ্লাইওভার টোল প্লাজার জ্যামে একটি বাস কয়েকটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কায় দেয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী কয়েকজন আহত হয়। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেহেরুন্নেছা ভুমি দুপুর ১টার দিকে মারা যায়।
নিহত মেহেরুন্নেসার বাড়ি চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হানিফ ফ্লাইওভারে আহত মোটরসাইকেল আরোহী এক অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ দুজনকে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই অন্তসত্ত্বা নারী মারা যান। আহতদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

নিহত মেহেরুন্নেছা ভুমির স্বামী মুসা কালিমুল্লাহর আহাজারি।
মৃত মেহেরুন্নেছার স্বামী মুসা কালিমুল্লাহ বলেন, তাদের এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। আমার স্ত্রী আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তাদের এক মেয়ে সন্তানও রয়েছে। সকালে বাসা থেকে মোটরসাইকেল যোগে মগবাজার আদ্বদীন হাসপাতালে যাচ্ছিলাম। হানিফ ফ্লাইওভার গুলিস্তান টোল প্লাজার জ্যামে দাড়িয়ে ছিলাম। এ সময় পেছন দিক থেকে আসা মনজিল পরিবহনের একটি বাস কয়েকটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে পেছনে থাকা আমার স্ত্রী মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পরে যায়। পরে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করি।
তিনি আরও জানান, বাসটি বেপরোয়া গতিতে এসে দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় পেছন ধাক্কা দেয়। বাসটির কোনো ত্রুটি ছিল নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে কাজটি করেছে পুলিশের কাছে তদন্ত করার দাবি জানাচ্ছি। সামনের আরও একটি মোটরসাইকেলের দুইজন আহত হয়।
হাসপাতালে আহত রোকনউদ্দিন রানা জানান, সে নিজে পাঠাও চালক। দোলাইপাড় থেকে যাত্রী নিয়ে হাতিরপুল আসতেছিল। হানিফ ফ্লাইওভারের উপড়ে গুলিস্তান টোলপ্লাজার সামনে জ্যামে দাড়ায়। এ সময় একটি বাস তাদেরকে ধাক্কা দেয়। আমার পিছনের যাত্রীর অবস্থা খুব খারাপ। তাকে অন্য একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ওয়ারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমির উদ্দিন জানান, ঘটনার পরপরই মনজিল পরিবহনের বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে। তবে এর চালক পালিয়ে গেছে। ঘটনার বিস্তারিত জানতে কাজ করছি।