Thursday 10 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কোনো নির্বাচনেই থাকছে না ইভিএম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১০ জুলাই ২০২৫ ২০:০৫

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। ফাইল ছবি

ঢাকা: দেশের নির্বাচনি ব্যবস্থা থেকে বাদ হলো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। শুধু জাতীয় নয়, স্থানীয় সরকারের ভোটেও আর ইভিএম ব্যবহার হবে না।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) অষ্টম কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। সেইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কাছে থাকা ইভিএম পরবর্তী সময়ে কী করা যায় সেটা নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছে ইসি।

আবুল ফজল বলেন, ‘উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুসারে, দেড় লাখ ইভিএম সেট ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি, ছয়টি সফটওয়্যার, পাঁচটি যানবাহন এবং ৯ হাজার ২০০টি র‌্যাক কেনা হয়। ইভিএম রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দুই চুক্তির আওতায় ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত ৩৯ হাজার ৯৯৯টি ইভিএম সেট মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে। এছাড়া, বিএমটিএফ প্রয়োজন অনুসারে ইভিএম রক্ষণাবেক্ষণ সাপোর্ট দিচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, জেলা পর্যায়ে ভাড়া গুদামে এবং বিএমটিএফের ওয়্যারহাউজে ইভিএম সেট সংরক্ষণ করা হচ্ছে। নির্বাচন ব্যবস্থায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার প্রকল্প নেওয়া হয়। প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ৩ হাজার ৮২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ৬৭৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা। প্রকল্পের ডিপিপি অনুসারে আর্থিক অগ্রগতি মোট প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৯৬ শতাংশ এবং বাস্তব ক্রমপুঞ্জিত অগ্রগতি ৯৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডে বুয়েটের তৈরি ইভিএম প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হয়। পরবর্তী সময়ে স্বল্প পরিসরে ইভিএম ব্যবহার শুরু হয়। এরপর ২০১৩ সালে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএমের সমস্যার কারণে পরবর্তী সময়ে আর সেটি ব্যবহার করা হয়নি। পরে কে এম নূরুল হুদা কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের জন্য ইভিএম তৈরি করে বিএমটিএফ।

২০১৭ সালে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডের ছয়টি কক্ষে পরীক্ষামূলক ওই ইভিএম ব্যবহার করা হয়। এরপর দেড় লাখ ইভিএম সেট কিনতে ২০১৮ সালে প্রকল্প নেয় সরকার। এ প্রকল্পে খরচ ধরা হয় ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। পরে মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়, তবে ব্যয় বাড়ানো হয়নি। চলতি বছরের জুনে শেষ হয়েছে প্রকল্পের কাজ।

সারাবাংলা/এনএল/পিটিএম

ইভিএম থাকছে না নির্বাচন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর