ঢাকা: রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের অভিযুক্ত নেতাদের আজীবন বহিষ্কার করা হলেও বিএনপির ওপর দায় চাপানোকে ‘নোংরা অপরাজনীতি’ বলে আখ্যায়িত করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “মিটফোর্ডের ঘটনায় সিরিয়াস ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরপরও বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপিকে দায়ী করাটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও নোংরা রাজনীতির চর্চা। বিএনপি কখনো অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়নি, ভবিষ্যতেও দেবে না।”
তিনি আরও বলেন, “দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় বিএনপির অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’। হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধেও ইতিপূর্বে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
এদিকে যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন এক বিবৃতিতে জানান, এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক রজ্জব আলী পিন্টু এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম লাকিকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
তারা বলেন, “দল তাদের কোনো অপকর্মের দায় নেবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন এ বিষয়ে কোনো শৈথিল্য না দেখায়।”
স্বেচ্ছাসেবক দলও একই ঘটনায় জড়িত আরও দুজন নেতাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছেন।
এছাড়া, দলীয় নেতৃবৃন্দ যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অভিযুক্তদের সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।