ঢাকা: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ উদ্যোগে পরিবেশ অধিদফতর ২০২৪ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত দেশব্যাপী বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ ও নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে মোট এক হাজার ১৯১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দায়ের করা হয়েছে দুই হাজার ৮৪৬টি মামলা এবং আদায় করা হয়েছে ২৫ কোটি ৬১ লাখ ৩৯ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা।
শুক্রবার (১১ জুলাই) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে যানবাহনের অতিমাত্রায় কালো ধোঁয়া নির্গমন, অবৈধ ইটভাটা, স্টিল মিল, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য নির্গমনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান, সীসা-ব্যাটারি রিসাইক্লিং কারখানা, জলাশয় ভরাট, খোলা জায়গায় নির্মাণ সামগ্রী সংরক্ষণ, টায়ার পাইরোলাইসিস ও চারকোল কারখানায় অভিযান চালানো হয়েছে।
এই সময়ে ৪৮৩টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়, ২১৬টি ইটভাটাকে কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং ১৩২টি ইটভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়। এ ছাড়া ৯১টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সেবা বা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এসব অভিযানে দুইজনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সীসা গলানোর ৮টি ট্রাক সরঞ্জাম জব্দ করে ৬টি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, বিক্রি, সরবরাহ ও বাজারজাতকরণ ঠেকাতে ২০২৩ সালের ৩ নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১০ জুলাই পর্যন্ত ৪৭৭টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এতে ৯০৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৭ লাখ ৪০ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং প্রায় দুই লাখ ৪৫ হাজার ৭০৭ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়েছে।
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ১০ জুলাই ঢাকার মিরপুর এবং কিশোরগঞ্জে ২টি মোবাইল কোর্টে ৬টি মামলায় ৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একইদিনে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) অনুযায়ী কিশোরগঞ্জে আরও একটি মামলায় ১৩ হাজার টাকা জরিমানা এবং ২৭ দশমিক চার কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়।
এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ ও পাবনা জেলায় পরিচালিত দুটি এনফোর্সমেন্ট অভিযানে দুটি প্রতিষ্ঠানের সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পরিবেশ অধিদপর জানিয়েছে, পরিবেশ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও আরও জোরদারভাবে চালিয়ে যাওয়া হবে।