ঢাকা: জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও দখলবাজদের সঙ্গে কোনো ধরনের রাজনৈতিক জোটে যাবে না জামায়াতে ইসলামী।
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেলে ডেমরা অঞ্চলের প্রচারাভিযান শেষে এক পথসভায় তিনি বলেন, ‘জামায়াত জোট করবে কেবল সৎ, যোগ্য, দক্ষ, নৈতিক ও আদর্শবান নেতৃত্বের সঙ্গে। আমাদের লক্ষ্য একটি নিরাপদ ও কল্যাণরাষ্ট্র গঠন।’
তিনি বলেন, ‘যারা নিজের দলই চালাতে পারে না, তারা দেশ চালাবে কীভাবে? এক দলের নেতা যদি আরেক নেতার কাছে নিরাপদ না থাকেন, সেই দলের হাতে জাতিও নিরাপদ নয়।’
সরকারের উদ্দেশে মাসুদ বলেন, ‘আওয়ামী জাহেলি যুগ শেষ হয়ে এসেছে। কিন্তু এখন যারা খুন-চাঁদাবাজি-দখলবাজিতে লিপ্ত, তাদের জবাবও রাজনৈতিক দলগুলোকে দিতে হবে। মিটফোর্ডে যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা ছিল চাঁদা নিয়ে দলের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের পরিণতি। এমন বর্বরতা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের চেয়েও ভয়াবহ।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কোনো নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ নেই। আমরা বলেছি, নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে। তবে তার আগে সব গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’
জামায়াতের নিবন্ধন, দলীয় প্রতীক ও শীর্ষ নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতেও কোনো বিশৃঙ্খল কর্মসূচি না দেওয়ার পেছনে দলের ‘রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা রক্ষার প্রয়াস’ উল্লেখ করেন তিনি।
১৯ জুলাইয়ের জাতীয় সমাবেশ সফল করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘৭ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই সমাবেশ হবে জনগণের প্রত্যাশিত নতুন বাংলাদেশের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন মহানগর ও ওয়ার্ড পর্যায়ের জামায়াত নেতারা, যাদের মধ্যে ছিলেন মোকাররম হোসাইন খান, মোহাম্মদ কামাল হোসেন, মোহাম্মদ আলী, মেছবাহ উদ্দীন মীর্জা হেলাল, তমিজ উদ্দীন সোহরাওয়ার্দী, হাফেজ ইসমাইল আদনান ও খন্দকার কামারাম মুনীর ফুয়াদ।