সিদ্ধেশ্বরী মহিলা কলেজে ‘যমুনা ব্যাংক নারী উদ্যোগ’
২ জুলাই ২০১৮ ১৫:৩৩
।। সিনিয়ির করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: রাজধানীর নিউ বেইলী রোডের পুরনো প্রতিষ্ঠান সিদ্ধেশ্বরী মহিলা কলেজ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংয়ে দেশ সেরা এ কলেজটির শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার। অথচ এতোদিন এসব শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা কিংবা মাসিক বেতন যে কোনো ফি দিতে পোহাতে হতো ভোগান্তি। তবে এবার সে ভোগান্তির অবসান হলো। বেসরকারি যমুনা ব্যাংক এবার কলেজ ক্যাম্পাসে একটি কালেকশন বুথ খুলেছে। এর মাধ্যমেই সমাধা হবে যাবতীয় লেনদেনের।
সোমবার (২ জুলাই) সকালে বেশ ঘটা করেই উদ্বোধন করা হয় এ বুথটির। এসময় কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি এএস মাহমুদ ও অধ্যক্ষ কানিজ মাহমুদা আকতারসহ ব্যাংকটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
‘যমুনা ব্যাংক নারী উদ্যোগ’ এমন শিরোনামে সদ্য উদ্বোধন হওয়া বুথে টাকা জমা দিতে সকাল থেকেই ছাত্রীরা উপস্থিত হয় কলেজ ক্যাম্পাসে। বেলা ১১টার কিছু পর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর সারিবদ্ধভাবে ছাত্রীদের টাকা জমা দিতে দেখা যায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কলেজ অধ্যক্ষ কানিজ মাহমুদা আকতার বলেন, যমুনা ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে কলেজের সঙ্গে রয়েছে। তবে এতোদিন ব্যাংকটিতে টাকা জমা দিতে ছাত্রীদের কাকরাইলে যেতে হতো। এতে একদিকে যেমন সময় নষ্ট হতো, পথে পোহাতে হতো ভোগান্তিও। কিন্তু আজ থেকে তার অবসান হলো। ব্যাংক এখন আমাদের ঘরে চলে এসেছে। এসময় উপস্থিত ছাত্রীরা করতালি দিয়ে তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।
কলেজ পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান এএস মাহমুদ বলেন, রাজধানীতে সিদ্ধেশ্বরী কলেজটি কেবল একটি সেরা কলেজই নয়, এখানকার ছাত্রীরা একটি উন্নত আদর্শ বহন করে। ব্যাংক বুথটি চালু হওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সময় বাঁচবে। তারা আরো বেশি সময় পাবে।
কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মনোয়ারা বেগম জানান, বর্তমানে কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিকসহ ৯টি বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে। সব মিলে ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার। প্রতি মাসে ছাত্রীদের টিউশন ফি ১২শ’ টাকা। সে হিসাবে মাসে প্রায় কোটি টাকা ট্রানজেকশন হবে এই বুথে। এর মাধ্যমে ছাত্রীরা অধিকতর নিরাপত্তার সঙ্গে অল্প সময়ে তাদের কাজ শেষ করতে পারবে। বুথটিতে দুইজন অফিসারসহ মোট ৫ জন স্টাফ অফিস চলাকালীন দায়িত্ব পালন করবেন।
উদ্বোধনের পর টাকা জমা দিতে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী কানিজ রাবেয়া। সারাবাংলাকে তিনি জানান, আগে কাকরাইলে যমুনা ব্যাংকের শাখায় টাকা জমা দিতে হতো। এখন এই অবস্থা থেকে মুক্তি মিলবে। অল্প সময়ে আমরা টাকা জমা দিতে পারব।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার তানহা জানান, কলেজে ভর্তি হওয়ার পর থেকে শুনে আসছিলাম এখানে ব্যাংকের একটি বুথ হবে। আজকে সেটি উদ্বোধন হতে দেখে ভালো লাগছে। আমার বাসা বাসাবো এলাকায় সেখান থেকে এসে কাকরাইলে গিয়ে টাকা জমা দিতে অনেক ঝামেলা ছিল।
শাহাদাৎ হোসেন নামে এক অভিভাবক জানান, প্রতি মাসে টাকা জমা দিতে একটি আলাদা সময় লাগতো। কখনো কখনো মেয়ের টাকা আমাকে বা অন্য কাউকে জমা দিতে হতো। এখন আর সে ঝামেলা থাকবে না।
সারাবাংলা/এমএস/এটি
** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook