অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা ২০ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি-মার্কিন যুবক সাইফোল্লাহ মুসাল্লেতকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। শনিবার (১২ জুলাই) সিএনএন-এর প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানায়, রামাল্লার উত্তরে সিনজিল শহরে বসতি স্থাপনকারীরা মারাত্মকভাবে মারধর করে মুসাল্লেতকে হত্যা করে। সিনজিল পৌরসভা এই হামলাকে স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর “দৈনিক আক্রমণের” অংশ হিসেবে “বর্বর আক্রমণ” বলে আখ্যায়িত করেছে। অভিযোগ উঠেছে, বসতি স্থাপনকারীদের হামলার সময় ইসরায়েলি বাহিনী ওই এলাকায় প্রবেশ করে এবং অ্যাম্বুলেন্স ও স্বেচ্ছাসেবকদের কাজে বাধা দেয়।
নিহত মুসাল্লেতের পরিবারের এক বন্ধু সিএনএন-কে জানান, মুসাল্লেত টাম্পা, ফ্লোরিডায় জন্মগ্রহণকারী একজন আমেরিকান নাগরিক ছিলেন। সিনজিলের এই হামলায় বসতি স্থাপনকারীদের গুলিতে বুকে আঘাত পেয়ে আরেক ফিলিস্তিনি যুবক নিহত হয়েছেন। একই হামলায় আরও ১০ জন আহত হয়েছেন।
মুসাল্লেতের পরিবার এই ঘটনার তদন্তের জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরকে আহ্বান জানিয়েছে। পরিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা বিধ্বস্ত যে সাইফোল্লাহ মুসাল্লেতকে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে, যখন সে তার পরিবারের জমি রক্ষা করছিল।’ তারা এই ঘটনার “বিচার” দাবি করেছে।
মুসাল্লেত টাম্পায় একটি ব্যবসা চালাতেন এবং ৪ জুন থেকে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে পশ্চিম তীরে ছিলেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর সিএনএন-কে জানিয়েছে, তারা পশ্চিম তীরে একজন আমেরিকান নাগরিকের মৃত্যুর খবর সম্পর্কে অবগত। তবে তারা বিস্তারিত জানায়নি। একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘এই কঠিন সময়ে পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি শ্রদ্ধাবশত, আমাদের আর কোনো মন্তব্য নেই।’
ইসরায়েল সম্প্রতি পশ্চিম তীরে সামরিক অভিযান বাড়িয়েছে। যার ফলে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে পশ্চিম তীরে বেশ কয়েকজন আমেরিকান নাগরিক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে গত এপ্রিলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর গুলিতে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর নিহত হয় এবং ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ইসরায়েলি বসতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলাকালীন ২৬ বছর বয়সী এক নারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।