Saturday 12 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘তারেক রহমানের ক্যারিশমাটিক নেতৃত্বে হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৩ জুলাই ২০২৫ ০০:৩০

বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এ সালাম

সিলেট: বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এম এ সালাম বলেছেন, গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদের পতাকাবাহী তারেক রহমান তার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব দিয়ে যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত থেকেও বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন শক্ত হাতে চালিয়ে গেছেন। তার নেতৃত্বে হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়।’

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে সিলেট নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে সিলেটে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: আগামীর বাংলাদেশ ও তারেক রহমান’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

ব্যারিস্টার সালাম বলেন, ‘‘তারেক রহমানের অগ্নিঝরা বক্তব্যে উঠে আসে বেশ কিছু ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্লোগান। যেমন, ‘টেইক ব্যাক বাংলাদেশ, যদি তুমি ভয় পাও তবে তুমি শেষ, যদি তুমি রুখে দাঁড়াও তবে তুমি বাংলাদেশ’। ‘বাংলাদেশ যাবে কোন পথে, ফায়সালা হবে রাজপথে’। অবশেষে সেটাই হয়েছে। পরিশেষে, ‘দফা এক দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ’-এই স্লোগানেই শেষ পর্যন্ত আন্দোলনের দাবানল শহর থেকে গ্রামে-গঞ্জে, স্কুল থেকে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং আন্দোলনের পঠভূমি চূড়ান্ত রূপ নেয়। অতঃপর ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল রাজনৈতিক দলমতকে ঐক্যবদ্ধ করে যুগপৎ আন্দোলনের ডাক দেন তারেক রহমান।’’

তিনি বলেন, ‘মূলত এভাবেই তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলনের ভীত রচিত হয় এবং ২০২৪ -এর জুলাইয়ে অতীতের সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়েই ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে। গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারের আন্দোলন এবং বিচক্ষণ নেতৃত্বেই তারেক রহমানকে মহানায়কে পরিণত করেছে।’

ব্যারিস্টার সালাম বলেন, ‘তারেক রহমান এই দীর্ঘ লড়াইয়ের পরই জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ ও খুনি হাসিনার কবল থেকে দেশ ও দেশের আপামর জনগণকে মুক্ত করেছেন। এই আন্দোলনে যারা শহিদ হয়েছেন, তাদের এই আত্মত্যাগ জাতি চিরকাল মনে রাখবে। তাই আজকে এটি সময়ের দাবি গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার যারা হয়েছেন, তাদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি পরিবারের সম্মানজনক পুনর্বাসন ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে।’

কবি ও আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল মুকিত অপির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে ব্যারিস্টার এম এ সালামের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরেন দেশ টিভির সিলেট প্রতিনিধি খালেদ আহমদ।

মতবিনিময় সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী ও কিংবদন্তি বিএনপি নেতা এম ইলিয়াছ আলীর সহধর্মিনী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা, সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, সচিব প্রফেসর মামুন আকবর চৌধুরী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ সিলেটের আহ্বায়ক ডাক্তার শামীমুর রহমান, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. মোজাম্মেল হক প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে পুলিশের গুলিতে নিহত মেধাবী সাংবাদিক এটিএম তুরাব ও সিলেট-৩ আসনের অন্তর্গত সকল জুলাই যোদ্ধাকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

সারাবাংলা/এইচআই

এম এ সালাম তারেক রহমান সিলেট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর