ঢাকা: ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন জানিয়েছেন, সরকারি মাধ্যমের চার হাজার ৯৭৮ হাজিকে ৮ কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
রোববার (১৩ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চলতি বছরের হজ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের পারফরমেন্স বিষয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আমরা কাজ করে যাচ্ছি, হজ কর্মকর্তাদের সহযোগিতা পাচ্ছি, মিডিয়ার সহযোগিতা পাচ্ছি। আমরা গত বছর যেভাবে হজের ব্যবস্থাপনায় সফলতা পেয়েছি, আগামী দিনেও তেমনি সহযোগিতা পাব বলে আশাবাদী।
হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সরকারের ব্যবসায়িক কোনো উদ্দেশ্য নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাজিদের সেবা করাই সরকারের একমাত্র ব্রত। এ বছর হজ প্যাকেজে বাড়িভাড়ার জন্য যে পরিমাণ টাকা ধার্য্য করা হয়েছিল তার চেয়ে কিছু কম রেটে বাড়ি ভাড়া পাওয়া গেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কম রেটে সার্ভিস চার্জও মিলেছে। এর ফলে প্যাকেজের কিছু টাকা উদ্বৃত্ত রয়েছে। এই উদ্বৃত্ত টাকা সরকারি মাধ্যমের প্রত্যেক হাজিকে ফেরত দেওয়া হবে।

ফাইল ছবি
উপদেষ্টা গণমাধ্যমকে জানান, সাধারণ হজ প্যাকেজ-১ এর যেসব পূর্ণ প্যাকেজের হাজি চার ও ছয় নম্বর বাড়িতে ছিলেন তারা প্রত্যেকে ৫ হাজার ৩১৫ টাকা ফেরত পাবেন। চার নম্বর বাড়ির শর্ট প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ২৩ হাজার ২৭ টাকা ফেরত পাবেন। এই প্যাকেজের ৫ নম্বর বাড়িতে অবস্থানকারী পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ১৩ হাজার ৫৭০ টাকা ফেরত পাবেন। পাঁচ ও ছয় নম্বর বাড়িতে শর্ট প্যাকেজে কোনো হাজি রাখা ছিল না।
উপদেষ্টা আরও জানান, সাধারণ হজ প্যাকেজ-২ এর পূর্ণ প্যাকেজের যে সকল হাজি এক নম্বর বাড়িতে ছিলেন তারা প্রত্যেকে ১৯ হাজার ১৯২ টাকা এবং শর্ট প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ৫১ হাজার ৬৯২ টাকা ফেরত পাবেন। দুই নম্বর বাড়িতে অবস্থানকারী পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ২১ হাজার ১৪২ টাকা এবং শর্ট প্যাকেজের হাজিরা ৫৩ হাজার ৬৪২ টাকা ফেরত পাবেন। তিন নম্বর বাড়িতে অবস্থানকারী পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ২৪ হাজার ২৬২ টাকা ফেরত পাবেন। এ বাড়িতে শর্ট প্যাকেজের কোনো হাজি ছিলেন না। এই টাকা হাজিদের ব্যাংক একাউন্টে ফেরত পাঠানো হবে।
ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন জানান, ২০২৬ সালের হজের খরচ আরও কমিয়ে আনার জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এবং সেই লক্ষ্যে নভেম্বর মাসেই সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তি সই হবে।
এ সময় ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ড. মো. আয়াতুল ইসলাম, হজ অনুবিভাগের যুগ্মসচিব ড. মঞ্জুরুল হক, হাবের সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার ও মহাসচিব ফরিদ আহমদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১৫৭ জন মুসল্লি হজে অংশ নেন। হজযাত্রা শুরু হয় ২৯ এপ্রিল থেকে এবং শেষ ফ্লাইটটি সৌদি আরবের উদ্দেশে যায় ৩১ মে। এবারের হজ অনুষ্ঠিত হয় ৫ জুন। ফিরতি হজ ফ্লাইট ১০ জুলাই শেষ হয়েছে।