Sunday 13 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দেখা মিলল কাঙ্ক্ষিত ইলিশের, এক জালে ৬৫ মণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৩ জুলাই ২০২৫ ১৯:০২ | আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৫ ১৯:২৪

বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়া ইলিশ

পটুয়াখালী: অবশেষে ভরা মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মিলল। বঙ্গোপসাগরে একটি ট্রলারে ধরা পড়েছে রেকর্ড পরিমাণ ৬৫ মণ ইলিশ। জেলেদের এক জালে ধরা পড়া এসব ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৩৯ লাখ ৬০ হাজার ১৪০ টাকায়।

রোববার (১৩ জুলাই) দুপুরে পটুয়াখালীর আলীপুরের মেসার্স খান ফিশ নামে একটি আড়তে মাছগুলো আনা হলে নিলামের মাধ্যমে তা বিক্রি করা হয়। এর আগে শুক্রবার কুয়াকাটা থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে গভীর সমুদ্রে এইসব ইলিশ ধরা পড়ে।

এফবি সাদিয়া-২ নামের মাছ ধরা ট্রলারটি গত ৯ জুলাই ২৩ জন জেলে নিয়ে আলীপুর ঘাট থেকে সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। গভীর সমুদ্রে জাল ফেলে জেলেরা কাঙ্ক্ষিত মাছের দেখা পান। মাছ নিয়ে ট্রলারটি আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ফিরে আসেন।

বিজ্ঞাপন

ধরা পড়া ইলিশ তিনটি ভিন্ন আকারে ভাগ করে বিক্রি করা হয়। ৯০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের প্রতি মণ ৯৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। ৬০০ গ্রাম থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৭০ হাজার টাকা এবং ৪০০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনে প্রতি মণ ৫৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়।

এছাড়াও, বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ ১ লাখ ১৭ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। সব মিলিয়ে, ট্রলারের মোট ৩৯ লাখ ৬০ হাজার ১৪০ টাকার মাছ বিক্রি হয়।

ওই ট্রলারের মাঝি শাহাবুদ্দিন জানান, ৯ জুলাই তিনি আলীপুর ঘাট থেকে ২৩ জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে যান। কুয়াকাটা সংলগ্ন গভীর সমুদ্রে জাল ফেলে তারা এই বিপুল পরিমাণ মাছ পেয়েছেন।  ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বারবার প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। এই বছর এই প্রথম এত বেশি মাছ পেয়েছেন তারা। মাছ বিক্রি করে আগের লোকসান কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।

খান ফিসের ম্যানেজার মো. সাগর ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে সাগরে মাছ কম ধরা পড়ছে। জেলেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন। তবে এই মাছ বিক্রি করে ওই কয়েকজন জেলে তাদের আগের লোকসান কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে জেলেরা লোকসানে জর্জরিত। তবে, গত কয়েকদিন থেকে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছে। এটিকে নিষেধাজ্ঞার সুফল বলা যায়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সামনে জেলেরা পর্যাপ্ত ইলিশ পাবেন বলে প্রত্যাশা করছেন তিনি।

সারাবাংলা/এসআর

ইলিশ কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পটুয়াখালী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর