Sunday 13 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

টেক্সটাইল শিল্প রক্ষায় উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান বিটিএমএ সভাপতির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৩ জুলাই ২০২৫ ২০:০০

শওকত আজিজ রাসেল

ঢাকা: দেশীয় টেক্সটাইল শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় নীতি নির্ধারকদের উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল। সম্প্রতি সরকারের বিভিন্ন প্রতিনিধির সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ আহ্ববান জানান।

রোববার (১৩ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিটিএমএ’র একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সুতা উৎপাদনে ব্যবহার্য প্রধান কাঁচামাল তুলা আমদানিতে ২ শতাংশ এআইটি অবিলম্বে প্রত্যাহার, গত ২০২৪-২৫ এর ন্যায় ১৫ শতাংশ কর্পোরেট ট্যাক্স পুর্নবহাল এবং দেশীয় টেক্সাইল মিলে উৎপাদিত কটন সুতা এবং কৃত্রিম ও অন্যান্য আঁশের সংমিশ্রণে তৈরি সুতার উপর কেজি প্রতি সুনির্দিষ্ট কর ৫ টাকা অব্যাহতি প্রদান বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে অর্থ মন্ত্রনালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

সভার শুরুতে বিটিএমএ’র প্রেসিডেন্ট শওকত আজিজ রাসেল বলেন, বিটিএমএ প্রাইমারী টেক্সটাইল সেক্টরের সর্ববৃহৎ সংগঠন, এর সদস্য সংখ্যা ১ হাজার ৮৫৮ তন্মধ্যে স্পিনিং, উইভিং এবং ডাইং-প্রিন্টিং-ফিনিশিং মিল অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। এ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বেসরকারি খাতে একক বিনিয়োগ হিসেবে সর্বাধিক। দেশের রফতানি আয়ের প্রায় ৮৫ শতাংশ এর অধকি অর্জিত হচ্ছে টেক্সটাইল এবং অ্যাপারলে খাত হতে যার প্রায় ৭০ শতাংশ এর যোগানদাতা বিটিএমএ’র নতেৃত্বাধীন টেক্সটাইল খাত এবং এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিটেনশন প্রায় ৩০ শতাংশ। তাই বিটিএমএ-র সদস্য মিলগুলি বর্তমানে দেশের আমদানি পরিপূরক শিল্প হিসেবে বিবেচিত।

তিনি বলেন, ‘তৈরী পোশাক সহ টেক্সটাইল এবং অ্যাপারেল খাতে বিনিয়োগের পরিমান ৭৫ বিলিয়ন ডলার এবং সরকারের যথাযথ সহযোগীতা পেলে রফতানি আয় ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার করা সম্ভব। একই খাতভূক্ত শিল্প হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই টেক্সটাইল খাতের যেকোন সমস্যা সাপ্লাই চেইনে সংযুক্ত তৈরী পোশাক খাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।’

সভায় বিটিএমএ’র প্রতিনিধিদল প্রতিবেশী দেশ ভারতের টেক্সটাইল শিল্প কিভাবে তাদের সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন প্রণোদনা এবং সুযোগ সুবিধা উপভোগ করে তাদের স্থানীয় বাজারে তুলনায় কম মূল্যে অর্থাৎ ডাম্পিং মূল্যে আমাদের দেশে রফতানি করছে এবং ফলে আমাদের টেক্সটাইল শিল্প কি ধরণের প্রতিকুল অবস্থার সম্মুখীন হয়েছে তা তুলে ধরেন। অর্থ উপদেষ্টা ও এনবিআর’র চেয়ারম্যান বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করেন । তুলা এবং এমএমএফ সংশ্লিষ্ট ফাইবারের উপর ২ শতাংশ এআইটি আরোপ করার ফলে সৃষ্ট নেতিবাচক ফলাফল কি হতে পারে তা নিয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয় এবং এআইটি চূড়ান্ত আয়কর মূল্যায়নের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক মর্মে উপস্থাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আমাদের টেক্সটাইল শিল্পকে যদি টিকিয়ে রাখতে হয় তাহলে সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিদ্যমান ব্যবসায়ীদের পর্যাপ্ত পরিমান ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল প্রাপ্তিতে সহায়তা করা, দ্রুততার সাথে ব্যবসা বান্ধব পলিসি নির্ধারন করা, সময়োপযোগী ব্যবসা বান্ধব সিদ্ধান্ত গ্রহণ, গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য যখন তখন বৃদ্ধি না করে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ, যেসব ব্যবসায়ী ঋণ ঝুঁকিতে পড়েছেন তাদেরকে এক্সিট প্ল্যানের মাধ্যমে অব্যাহতি দেয়া, নতুন নতুন সেক্টরে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনে সহযোগিতা করা ও নীতি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে রাজস্ব সংগ্রহের পরিমান বৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করা এবং পুরাতন ব্যবসায়ীদের উপর ট্যাক্সের পরিমান বৃদ্ধি না করে সরকারের উচিৎ নতুন নতুন করদাতার সন্ধান করার মতো উদ্যোগ নিতে হবে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এসআর

টেক্সটাইল শিল্প বিটিএমএ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর