ফরিদপুর: ফরিদপুরে ভুয়া এনআইডি দিয়ে পাসপোর্ট করতে আসার পর স্থানীয় ২ দালালসহ ৩ রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
আটককৃত রোহিঙ্গা সদস্যরা হলেন- আব্দুল ছোবহান (৬০), তার স্ত্রী হাসিনা বেগম (৫৭) ও তাদের মেয়ে জামাই তৈয়বুর (২৯)।
এ ঘটনায় রাশেদ খান (২৮) সিয়াম মাহমুদ (২৭) নামে আরো দুই যুবককেও আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তাদের বাড়ি শহরের কমলাপুর এলাকায়।
জানা গেছে, আটক রোহিঙ্গাদের থেকে কক্সবাজার পৌর সদরের পাহাড়তলী মহল্লার ঠিকানা সম্বলিত আব্দুল ছোবহান ও হাসিনা বেগমের নামে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়। তবে এগুলো ভুয়া এনআইডি বলে জানা গেছে। যা ২০১৭ সালের ১২ মার্চ ইস্যু করা হয়েছে বলে দেখা গেছে।
আটক রোহিঙ্গা আব্দুল করিম বলেন, দালালেরা ৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে তার শ্বশুর ও শাশুড়ির পাসপোর্ট করিয়ে দেয়ার কথা বলে তাদের ফরিদপুরে নিয়ে আসে। তবে ফরিদপুর আসার পর তাদের ধরে একটি স্থানে নিয়ে দেড় লাখ টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু ওই টাকা দিতে না পারায় চার/পাঁচজন মিলে তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় তিনি দৌড়ে পাসপোর্ট অফিসের সামনে এলে সেখানে কর্তব্যরত আনসারেরা তাদের উদ্ধার করে অফিসের মধ্যে নিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে দালাল রাশেদ ও সিয়াম সহ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
জেলা পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক মো. নাইমুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আনসার সদস্যরা তাদের অফিসে নিয়ে আসার পর বিস্তারিত শুনে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
কোতয়ালি থানার এসআই আহাদুজ্জামান বলেন, ভুয়া এনআইডি নম্বর দিয়ে গত ২৩ জানুয়ারি দুই রোহিঙ্গা নাগরিক পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। তবে তাদের এনআইডিতে দেওয়া তথ্যের সাথে সঙ্গতি না থাকায় গত ৭ জুলাই তা রিজেক্ট করা হয়। এরপর তারা দালালের মাধ্যমে পাসপোর্ট করতে এসে আটক হয়েছে। আটককৃত রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।