Monday 14 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রংপুরে সিভিল সার্জনকে ‘মবের’ হুমকির অভিযোগ বৈষম্যবিরোধী নেতার বিরুদ্ধে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৪ জুলাই ২০২৫ ১১:০৬

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর জেলা আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ।

রংপুর: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর জেলা আহ্বায়ক ইমরান আহমেদের বিরুদ্ধে জেলার সিভিল সার্জন শাহিন সুলতানাকে ‘মবের’ হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (১৩ জুলাই) জেলা প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় এই হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সিভিল সার্জন। তবে ‘মবের’ হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করছেন ইমরান আহমেদ; আর জেলা প্রশাসক বলছেন এসব গুজব।

জানা গেছে, ঘটনার সূত্রপাত গত ১১ এপ্রিল। সেদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তারাগঞ্জের সমন্বয়ক তাহমিদ সরকারের বাবা রাধারানী মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আতাউর রহমান বুকে ব্যথা নিয়ে চিকিৎসা নিতে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে আসেন। এ সময় চিকিৎসক সাবরিনা মুসরাত জাহান তাকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এ সময় আতাউর রহমানের ছেলে তাহমিদ সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তারাগঞ্জের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে আরও চার থেকে পাঁচজনসহ চিকিৎসক সাবরিনাকে গালাগাল ও শরীরে আঘাত করেন বলে অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় তাহমিদসহ অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচজনের বিরুদ্ধে তারাগঞ্জ থানায় মামলা করেন ওই চিকিৎসক।

বিজ্ঞাপন

রোববারের জেলা প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় উপস্থিত একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে সভা চলার সময় জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা সাবরিনা মুসরাত জাহানের করা একটি মামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। এ সময় জেলা প্রশাসক সিভিল সার্জনের মন্তব্য জানতে চান। সিভিল সার্জন তখন বলেন, “কেস (মামলা) বিচারাধীন। বিচারে যা হবে, তা–ই।” তখন ইমরান রেগে গিয়ে বলেন, “সিভিল সার্জন চাইলে কেস উঠাতে পারে। মামলা তুলে না নিলে আমরা প্রকাশ্যে মব করব।”’

ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন শাহিন সুলতানা বলেন, মবের হুমকি দেওয়ায় তিনি ও তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা–কর্মচারীরা শঙ্কিত।

তবে ইমরান আহমেদ বলেন, তারাগঞ্জের একটা ইস্যু ছিল। এটা নিয়ে আমি আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে তুলেছি। আমাদের ছেলেদের ওপর এক ধরনের অন্যায় হয়েছে। এটা যেন সমাধান করে দেন, এভাবে বলছিলাম ওখানে। আমি বলেছি, যদি আমাদের ওপর অন্যায় হয়, তাহলে মবেই ভাল ছিল।

তবে জেলা প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় কোনো হুমকি দেওয়া হয়নি জানিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল বলেন, কেউ কাউকে কোনো হুমকি দেননি। কথা–কাটাকাটি হয়নি। এসব গুজব কেন ছড়াচ্ছে, আমি জানি না।

সারাবাংলা/ইআ

বৈষম্যবিরোধী নেতা হুমকির অভিযোগ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর