ঢাকা: চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান বলেছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির তালিকাভুক্তিতে বড় বাধা শর্ত। প্রচলিত তালিকাভুক্তি আইন অনুসারে কোনো কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত হতে হলে টানা তিন বছর মুনাফা করতে হয়। কিন্তু সরকারি কোম্পানিগুলোর সম্পদ অনেক বেশি থাকলেও নিট মুনাফা একটানা করা সম্ভব নয়। বর্তমানে নানা কারণে অধিকাংশ কোম্পানির পরিচালন মুনাফা কম। অনেকের ঋণাত্মকও। সে কারণে প্রধান উপদেষ্টার ৫টি নির্দেশনাতে সরকারি কোম্পানিকে তালিকাভুক্তির বিষয়টি না এনে বলা হয়েছে, বহুজাতিক যেসব কোম্পানিতে সরকারি শেয়ার রয়েছে সেগুলোকে দ্রুত পুঁজিবাজারে আনা হোক। এছাড়া বাকি চারটি প্রস্তাবও প্রশংসনীয়।
সোমবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও ঢাকা ব্রোকার্স এসোসিয়েশনের (ডিবিএ) উদ্যোগে এক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যকালে একেএম হাবিবুর রহমান এসব কথা বলেন। সেমিনারে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ইআরএফ প্রেসিডেন্ট দৌলত আকতার মালা। আর সেমিনার পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মানিক মুনতাসির।
সিএসই চেয়ারম্যান বলেন, বিগত ১৫ বছরে ১৩৮টির মতো বাজে কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এগুলো বাছাই করে সংস্কার কাজ এগিয়ে নিতে হবে। কারণ বাংলাদেশে জিডিপির তুলনায় পুঁজিবাজারের রেশিও্ খুবই কম। এটা বাড়াতে হবে। নইলে অর্থনীতির উন্নয়নের সঙ্গে পুঁজিবাজারের উন্নয়নের কোন সঙ্গতি থাকবে না। দুটোকে একই ধারায় নিতে আসতে হবে। সেজন্য পুঁজিবাজার পুনর্গঠন আবশ্যক। বর্তমানে যে ধারা অব্যাহত রয়েছে সেই ধারায় চলতে থাকলে পুঁজিবাজার বেশি দূর এগোবে না।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা স্টক একচেঞ্জের চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, ঢাকা বোর্কাস এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সাইফুল্র ইসলাম, ঢাকা স্টক একচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন ও ক্যাপিটাল মার্কেট জানার্লিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) প্রেসিডেন্ট এসএম গোলাম সামদানী ভূঁইয়া প্রমুখ।