ঢাকা: নিজ সংস্কৃতিকে যে জাতি প্রতিষ্ঠা করতে পারে না সে জাতির সমৃদ্ধি ও বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। বিজাতীয় সংস্কৃতি তাকে গ্রাস করে। এ থেকে উত্তরণের একটিই পথ- তা হচ্ছে সাংস্কৃতিক বিপ্লব। এই বিপ্লব ঘটাতে ব্যর্থ হলে আমাদের জাতিরাষ্ট্র বিপন্ন হবে। জাতীয় ঐক্য ও সংহতি বিনষ্ট হবে।
শনিবার (১৪ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ ভবনে কবি আল মাহমুদের স্মরণে আয়োজিত কবিতা আড্ডা ও স্মৃতিচারণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরাম এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
লেখক ফোরামের সভাপতি কবি শাহীন রেজার সভাপতিত্বে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি কবির কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিশিষ্ট আবৃত্তিকার ও আল মাহমুদ বিশ্লেষক নাসিম আহমেদ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি জাহাঙ্গীর ফিরোজ এবং প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ও সম্পাদক জাকির আবু জাফর।
জাহাঙ্গীর ফিরোজ বলেন, ‘বিজাতীয় সংস্কৃতির তীব্র থাবা থেকে আমাদের যেকোনো উপায়ে বেরিয়ে আসতে হবে।’
জাকির আবু জাফর বলেন, ‘আল মাহমুদ মানেই বাংলাদেশ। তার চোখ দিয়েই এ দেশ, এ দেশের মাটি ও মানুষকে দেখতে হবে।’
ফোরামের সাধারণ সম্পাদক কবি ও শিক্ষাবিদ ড. শহিদ আজাদ বলেন, ‘আল মাহমুদ মানেই একটি বিপ্লব। একটি চেতনার উন্মেষ। এই চেতনাকে আমাদের ধারণ ও লালন করতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে কবি শাহীন রেজা বলেন, ‘আল মাহমুদ জাতীয়তাবাদী চেতনার একটি সফল উচ্চারণ। তার আদর্শ ও চেতনার প্রতি আস্থা রেখেই সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তার হাতে জাসাসের নেতৃত্ব তুলে দিয়েছিলেন। এ জাতিকে এগিয়ে নিতে শহীদ জিয়ার যে স্বপ্ন ও অনুভব তাকে আমরা আল মাহমুদে প্রত্যক্ষ করি এবং তাই তিনি আমাদের অগ্রসৈনিক হিসেবে বিবেচিত।’
ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক মোসলেহ উদ্দিনের ব্যবস্থাপনা এবং দীপেস আনোয়ারের সঞ্চালনায় আলোচনা ও কবিতা পাঠে অংশ নেন কবি কামরুজ্জামান, ছড়াকার আতিক হেলাল, ক্যামেলিয়া আহমেদ, সৈয়দ রনো, আবীর বাঙালি, মাহবুব শওকত, মঈন মুরসালিন, পলি রহমান, রি হোসাইন, আবুল খায়ের, ইকবাল সেলিম, হাসান কামরুল, পারভীন শাহনাজ, রানা হোসেন, নূরুল আবছার, খালেদা সরদার প্রমুখ।