ঢাকা: বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ (পারস্পরিক বা পাল্টা শুল্ক) নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তৃতীয় পর্যায়ের আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সময় চাওয়া হয়েছে এবং আলোচনার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, যুক্তরাষ্ট্র যৌক্তিক পর্যায়ে শুল্ক নির্ধারণ করবে। বাংলাদেশ তার সক্ষমতা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবে।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা শেষে দেশে ফিরে সোমবার (১৪ জুলাই) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপের বিষয়ে দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের এ বিষয়ে নন-ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট (গোপনীয়তার চুক্তি) রয়েছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্র কী চেয়েছে, বা কী আলোচনা হয়েছে, এর বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, পাল্টা শুল্ক বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের অভিঘাত। সেজন্য সরকার সর্বাত্বক পর্যায়ে জড়িত থেকে কাজ করছে। ইতোমধ্যে কিছু কাজ করা হয়েছে, আরো কিছু কাজ করতে হবে। এখন আমরা অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করলাম। তাদের মতামত নিলাম। আমাদের প্রস্তুতি আছে। সামনে যেকোনো বিষয়ে আসলে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সেটি নিয়ে আমরা আলোচনা করব।
ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিজিএমইএ’র সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু, বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিসিআই সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ, এপেক্স ফুটওয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ, র্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রাজ্জাক, ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য মোস্তফা আবিদ খান, এফবিসিসিআই -এর প্রশাসক হাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাউসার চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।