ঢাকা: ভোটার এলাকা স্থানান্তর বা এলাকা পরিবর্তনের প্রক্রিয়া সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এখন থেকে ভোটার এলাকা পরিবর্তনে বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র জমা নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর) সংশোধন করার কথাও ভাবছে সংস্থাটি।
সোমবার (১৪ জুলাই) ইসির এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিপুল সংখ্যক ভোটার নিজের ভোটার এলাকার পরিবর্তে চাকরি বা অন্যান্য কারণে অন্য কোনো ঠিকানায় বসবাস করেন। এতে অনেকেই ভোট দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও ভোট দিতে পারেন না। এমন ব্যক্তিদের ভোটার এলাকা পরিবর্তনের প্রক্রিয়া সহজ করার কথা ভাবা হচ্ছে।’
এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, ‘বর্তমানে ভোটার এলাকা পরিবর্তনে বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র বা পরিষেবার বিলের কপি লাগে। এটা অনেক সময় ভাড়াটিয়ারা দিতে পারেন না নানা কারণে। তাই এগুলোর পরিবর্তে আমরা ভাবছি দুজন ব্যক্তি কর্তৃত্ব সংশ্লিষ্টকে শনাক্ত করার বিধান আনতে। অর্থাৎ যিনি আবেদন করবেন, তাকে সংশ্লিষ্ট এলাকার দুজন ভোটার শনাক্ত করবেন। পরে আমাদের কর্মকর্তা সেই দুই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হবেন।’
এনআইডি কার্যক্রম এসওপি অনুযায়ী সম্পন্ন করা হয়, যা কমিশন নির্ধারণ করে থাকে। এ জন্য আইন সংশোধনের প্রয়োজন নেই বলেও মনে করেন তিনি।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, কর্মজীবীদের অনেকেই নিজের ঠিকানার বাইরে বসবাস করেন। কিন্তু ভোটার এলাকা স্থায়ী ঠিকানায় হওয়ায় তারা ভোট দিতে পারেন না। কারণ কর্মস্থলের ঠিকানায় ভোটার এলাকা স্থানান্তর করতে প্রয়োজন হয় বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র প্রভৃতি। অনেক সময় এটি হয় না। ফলে ভোটার এলাকা অনেকেরই অপরিবর্তিত থেকে যায়। ভোটের দিন স্থায়ী ঠিকানায় না গেলে ভোটও দিতে পারেন না। এমন ভোটারদের ভোটার এলাকা পরিবর্তন সহজ করার জন্যই এ উদ্যোগ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।