ঢাকা: বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই বলেছেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘বিজ্ঞ ও অসাধারণ নেতৃত্বে’ বাংলাদেশ এখন ‘সত্যিকারের গণতান্ত্রিক নির্বাচনের’ দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
রোববার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকায় ফরাসি দূতাবাসে আয়োজিত ফ্রান্সের জাতীয় দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “এই পথ অনেক বাধা দিয়ে তৈরি, তবে সাহস ও দৃঢ়তার মাধ্যমে সেগুলো জয় করা সম্ভব।”
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারের খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। এসময় কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে মতপ্রকাশ, সংবাদমাধ্যম ও সমাবেশের স্বাধীনতাকে গণতন্ত্রের মৌলিক ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এই অধিকারগুলিকে অবশ্যই ন্যায্য বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে চলতে হবে।”
ম্যাসদুপুই ১৭৮৯ সালের বাস্তিল পতনের স্মরণ করে বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে এর মিল খুঁজে দেখান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ যে মূল্যবোধের জন্য সংগ্রাম করছে, তা আমাদের ফরাসি জনগণেরও পরিচিত।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্রান্সে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শত বছর সময় লেগেছিল, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ আরও দ্রুত তা অর্জন করবে।”
রাষ্ট্রদূত জানান, ফ্রান্স বাংলাদেশকে কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন ও জলবায়ু অভিযোজন সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে যাবে। বিশেষ করে, মহাকাশ প্রযুক্তিতে সহযোগিতা এবং স্যাটেলাইট ডেটার মাধ্যমে জলবায়ু পর্যবেক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি।
তাঁর মতে, দুর্নীতির কারণে কিছু প্রকল্প পর্যালোচনার আওতায় আনা হয়েছে, তবে গন্ধর্বপুর ও সায়েদাবাদ পানি শোধনাগারসহ জনগণের কল্যাণে কাজ করা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে।
শিক্ষা ও সংস্কৃতি খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রত্যাশা জানিয়ে তিনি বলেন, ফ্রান্স আরও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে আতিথ্য দিতে চায়। অনুষ্ঠানে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
ফরাসি জাতীয় দিবস উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণকে ফ্রান্সের পতাকার রঙে সাজানো হয় এবং তা উৎসবমুখর পরিবেশে পরিণত হয়।