ঢাকা: ‘শাপলা’ প্রতীকের পর এবার এনসিপির পছন্দের অন্য দুই প্রতীক মোবাইল ফোন ও কলম প্রতীক পাওয়ার দাবিতে একাধিক রাজনৈতিক দল পালটাপালটি চিঠি দিচ্ছে কমিশনে। সোমবার (১৪ জুলাই) নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এনসিপি গত ২২ জুন নিবন্ধন আবেদনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে ‘শাপলা’, ‘মোবাইল ফোন’ ও ‘কলম’ প্রতীক চায়। এর আগে ১৭ এপ্রিল নাগরিক ঐক্য শাপলা প্রতীক চেয়ে ইসিতে চিঠি দেয়। তবে নির্বাচন বিধিমালার তফসিলে ‘শাপলা’ অন্তর্ভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। ফল ‘শাপলা’ আর কোনো দলই পাচ্ছে না।
ইসির প্রস্তাবিত তফসিল অনুযায়ী, তালিকায় ‘মোবাইল ফোন’ ও ‘কলম’ প্রতীক দু’টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে দু’টি দল ইসি সচিবের কাছে চিঠি দিয়ে প্রতীক দু’টির দাবিদার তারা বলে জানিয়েছে।
‘জনস্বার্থে বাংলাদেশ’ দলের প্রেসিডেন্ট মো. বাবুল হোসেন ইসি সচিবের কাছে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, ‘মোবাইল প্রতীক নিয়ে আমাদের রাজনৈতিক দল দেশে দীর্ঘদিন যাবত প্রচার-প্রচারণা করে আসছে এবং নির্বাচন কমিশনও আমাদের দলের আবেদনে প্রস্তাবিত প্রতীকের ব্যাপারে অবগত আছে।’
চিঠিতে তিনি বলেন, ‘জনস্বার্থে বাংলাদেশ’ রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন আবেদন করে ২০২২ সালে ৩০ অক্টোবর এবং প্রতীক চায় ‘মোবাইল ফোন’। গণমাধ্যম থেকে জানতে পারলাম জাতীয় নাগরিক পার্টিকে মোবাইল প্রতীক হিসাবে বরাদ্দ দেওয়া হতে পারে। যদি তাই হয় তাহলে আমরা এরকম সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে বিষয়টি সুরাহার জন্য আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে নির্বাচন কমিশনকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।’
এদিকে, বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টির মুখপাত্র কাজী শামসুল ইসলাম ইসি সচিবকে লেখা চিঠিকে উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টির জন্য ‘কলম’ প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আবেদন করেছে। গত ২২ জুন সকল রাজনৈতিক দলের আবেদন শেষে সংবাদ মাধ্যম বরাতে জানা যায়, বেশ কয়েকটি দল দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘কলম’ চেয়েছে। যখন ‘কলম’ প্রতীক চেয়ে আবেদন করে বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি, তখন অনেক রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আবেদনই করেনি। সুতরাং ‘কলম’ প্রতীকের অগ্রণী দাবিদার একমাত্র ‘বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি’।
চিঠিতে বলা আরও হয়, বিগত ২৮ নভেম্বর ২০২৪ জাগ্রত পার্টির জন্মলগ্নে রেজ্যুলেশন ও পরবর্তী সময়ে গঠিত গঠনতন্ত্র এবং ঘোষণাপত্রে দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘কলম’ ব্যবহার করা হয়। সবকিছু বিবেচনায় নৈতিকভাবে ‘কলম’ প্রতীকের প্রথম দাবিদার ও হকদার একমাত্র ‘বাংলাদেশ জাগ্ৰত পার্টি’।