ঢাকা: নারীর ক্ষমতায়নে সবসময়ই অগ্রণী ভূমিকা রেখে আসছে বিএনপি—এমন মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তবে তিনি জানিয়েছেন, সংসদে ১০০টি নারী আসনের পক্ষে থাকলেও এসব আসনে সরাসরি নির্বাচনের পক্ষপাতী নয় বিএনপি।
সোমবার (১৪ জুলাই) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আমরা মনে করি, বর্তমানে বিদ্যমান পদ্ধতিতেই সংরক্ষিত নারী আসনে প্রতিনিধি নির্বাচন করা যেতে পারে। নারীর সরাসরি অংশগ্রহণ সময়সাপেক্ষ, তাই ধাপে ধাপে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোই বাস্তবসম্মত।”
তিনি আরও জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়নের বাধ্যবাধকতা থাকলেও বাস্তবতায় তা এখনো অনেক দলের পক্ষেই পূরণ করা সম্ভব হয়নি। “সামাজিক ও ধর্মীয় বাস্তবতায় নারীরা এখনো রাজনীতিতে সরাসরি আসতে দ্বিধা করেন-যোগ করেন তিনি।
এ সময় বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের একটি অংশ হিসেবে উচ্চকক্ষ বা ‘আপার হাউজ’ গঠনের প্রস্তাবের কথাও তুলে ধরেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, “সমাজের বিভিন্ন খাতে অবদান রাখা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের রাষ্ট্র পরিচালনায় যুক্ত করতেই এই উচ্চকক্ষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।”
তবে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে ৬৪ জেলা ও ১২ সিটি করপোরেশন থেকে ৭৬ জন সদস্য নির্বাচনের প্রস্তাবকে তিনি ‘জেলা পরিষদ বা প্রাদেশিক ব্যবস্থার মতো’ আখ্যা দেন এবং বলেন, “বাংলাদেশ একটি ইউনিটারি রাষ্ট্র। অতএব এমন নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রয়োজনীয় বা যৌক্তিক নয়।”
তিনি আরও বলেন, উচ্চকক্ষ গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মোটামুটি ঐকমত্য থাকলেও নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে। কেউ বলছে নিম্নকক্ষের আসন অনুপাতে প্রতিনিধি আসবে, কেউ বলছে প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
“ভবিষ্যতে বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে হবে,” উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, “আমরা আশা করি, কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলো যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবে।”