শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান রিপনের গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দিয়েছেন থানার ওসি (তদন্ত) সুরুজ উদ্দিন আহম্মেদ। এ ঘটনার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে জেলাজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
ঘটনার ছবি প্রথমে ফারুক আলম নামের এক ব্যক্তির ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়। ক্যাপশনে লেখা হয়— “মাসুদুর রহমান রিপনের একটাই গুণ, সে থানায় যায় না। ওসি তদন্ত স্যার তার কাছে আসেন শুভেচ্ছা বিনিময় করতে।”
এ ঘটনায় নড়িয়া উপজেলায় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক শুদ্ধাচার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শরীয়তপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক ইমরান আল নাজির বলেন, “আন্দোলনের পরবর্তীতে আমরা রাজনৈতিক নিরপেক্ষ পুলিশ চাই। কোনো দলের তোষামোদকারী বা লেজুড়বৃত্তিতে লিপ্ত পুলিশ সদস্য গ্রহণযোগ্য নয়। পুলিশকে স্বাধীন হতে হবে এবং শুধু জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে হবে।”
এ ব্যাপারে নড়িয়া উপজেলা বিএনপি নেতা মাসুদুর রহমান রিপন প্যাদার বক্তব্যের জন্য বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ওসি (তদন্ত) সুরুজ উদ্দিনের বলেন, “তার (রিপন) সঙ্গে আগে থেকেই আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। তিনি আমন্ত্রণ জানালে আমি দেখা করতে যাই, পাশাপাশি একটি মামলার তদন্তেও সেখানে যাওয়া হয়। তখন দেখি অনেকেই ফুলের মালা দিচ্ছেন।অনেকে সঠিকভাবে মালা পড়াতে পারছিলো না, আমি পাশে বসে থাকায় মালা পড়িয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলাম। তখন হয়তো কেউ ছবি তুলেছে। ”
এ বিষয়ে শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) ড. আশিক মাহমুদ বলেন, “পুলিশ সদস্য হয়ে এ ধরনের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে থানায় তুলে নিয়ে নির্যাতনের মাধ্যমে ৭২ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। এদের মধ্যে পরিদর্শক (তদন্ত) সুরুজ উদ্দিন আহমেদও ছিলেন। পরবর্তীতে তাকে নড়িয়া থানার ওসি (তদন্ত) করা হয়।