খুলনা: মহানগরীর আফিল গেইটে রেললাইনে উঠে যাওয়া ট্রাকে ট্রেনের ধাক্কায় দুর্ঘটনার পর প্রায় ৩ ঘণ্টা খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল। কিন্তু বর্তমানে যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা ৫০ মিনিটে খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় সুন্দরবন ট্রেনটি। ট্রেনটি রাত পৌনে ১০টায় ছাড়ার কথা ছিল। বাংলাদেশ রেলওয়ের খুলনার স্টেশন মাস্টার জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার (১৪ জুলাই) রাত সোয়া আটটার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে খুলনাগামী মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আফিল গেটে পৌঁছালে রেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় একটি ট্রাক রেললাইনের ওপর উঠেই হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ট্রেনটি ট্রাকটিকে ধাক্কা দিয়ে কিছুদূর নিয়ে যায় এবং ট্রেনের তিনটি বগি ছিটকে পড়ে। এতে ট্রেনের অন্তত ৩০ যাত্রী আহত হন। এদের মধ্যে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মো. শহিদুল ইসলাম খান (৬৫) নামের অবসরপ্রাপ্ত এক বিজিবি সদস্য মারা যান।
নিহতের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার সদর থানার খাজুড়া পূর্বপাড়া এলাকায়। আহতদের মধ্যে খুমেক হাসপাতালে আটজনকে এবং বাকিদের খুলনার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে খুমেক হাসপাতালে যাদের ভর্তি করা হয়েছে তারা হলেন- যশোরের অভয়নগর থানার নওয়াপাড়ার সুমনের পুত্র সাদমান(৬), যশোর সদর থানাধীন সেখহাটির হাফিজুরের পুত্র মারুফ(১৭), খুলনার বটিয়াঘাটা থানার হাটবাটির মোশারফের পুত্র মিন্টু (৪৫), খুলনার আড়ংঘাটা থানার গাইকুড়ের মৃত: শেখ রুস্তম আলীর পুত্র শেখ সাইদুল আজম (৫০), খুলনার খালিশপুরের বাস্তুহারা এলাকার আব্দুর রহিমের পুত্র সোহেল (৩৪), খুলনার রূপসা থানার কাজদিয়ার আশিষের মেয়ে লাবণ্য (১৫), খুলনার দৌলতপুরের রনজিত পালের পুত্র বিপ্লব (২৬) এবং যশোরের বসুন্দিয়ার ইয়াকুব মোল্লার পুত্র মাহমুদ হোসেন (৪০)।
অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি আহতদের তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।