নোয়াখালী: নোয়াখালীর সদর উপজেলার কালদরাপ, চরমটুয়া ও নোয়াখালী ইউনিয়নের বড়পিট এবং ভুলুয়া খালের ওপর গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় খালের বিভিন্ন অংশে থাকা অবৈধ বাঁধ ও কয়েকটি অংশে সড়ক কেটে দেওয়া হয়েছে।
এ অভিযান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শাহনেওয়াজ তানভীর। অভিযানে সহযোগিতা করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, আনসার বাহিনী, মৎস্য অফিস, এলজিইডি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বন বিভাগ, সেচ্ছাসেবী ও স্থানীয় লোকজন।
জানা গেছে, গত ২০২৪ সালের আগস্টের ভয়াবহ বন্যা পরবর্তী প্রায় তিন মাসের বেশি সময় ধরে জলাবদ্ধ থাকে সদর উপজেলার বেশির ভাগ এলাকা। চলতি মাসের শুরুতে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে আবারও পুরো উপজেলায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। কয়েকদিনের মাথায় এ জলাবদ্ধতা জনদুর্ভোগে রূপ নেয়। এরইমধ্যে জলবদ্ধতা নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।
জলাবদ্ধতার জন্য লোকজন খাল ও জলাশয়গুলোর অবৈধ দখলকে দায়ি করেন। তাদের অভিযোগ বিভিন্ন স্থানে খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা, খালের মাঝখানে বাঁধ নির্মাণ, ভেসাল জাল বসানোর কারণে পানি আটকে থেকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানে স্বস্তি ফিরেছে স্থানীয়দের মধ্যে। প্রশাসনের এমন কার্যক্রমকে তারা সাধুবাদ জানিয়েছেন তারা।
সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শাহনেওয়াজ তানভীর বলেন, ‘জলাবদ্ধতা দূর করতে বিভিন্ন খালের ওপর থাকা অবৈধ স্থাপনা ও বাঁধগুলো উচ্ছেদ করতে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। গত দুদিনে বড়পিট ও ভুলুয়া খালের ওপর থাকা প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা, বাঁধ ও বাড়ির সড়ক কেটে উচ্ছেদ করেছি। ওইসব স্থান দিয়ে বর্তমানে দ্রুত পানি নেমে নোয়াখালী খাল হয়ে নদীতে যাচ্ছে। খালগুলো দখলমুক্ত করে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে আমাদের এ অভিযান অব্যহত থাকবে।’