চট্টগ্রাম ব্যুরো: স্ত্রী কৃষি বিভাগের আর স্বামী বন বিভাগের কর্মচারী। এ দম্পতির বিরুদ্ধে প্রায় ৭৮ লাখ টাকার আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের মামলায় নগরীর ডবলমুরিং থানা পুলিশ ওই নারীকে গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মিজানুর রহমান।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ সারাবাংলাকে এ সব তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতার শাহনাজ পারভীন (৫৫) চট্টগ্রামের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ের প্রধান সহকারী। আর তার স্বামী সুলতানুল আলম চৌধুরী চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরত আছেন বলে জানা গেছে।
দুদকের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, শাহনাজ পারভীন ১৯৯১ সালে অফিস সহকারী পদে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে যোগ দেন। তার দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে দুদক জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭ লাখ ৯ হাজার ১৮৮ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পায়। এ ছাড়া, অনুসন্ধানে আরও ২ লাখ ২ হাজার ২৪৩ টাকার সম্পদ বিবরণীতে গোপনের তথ্য পায়।
অন্যদিকে, তার স্বামী সুলতানুল আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন ৫১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৩৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পায় দুদক। উভয়ের বিরুদ্ধে করা মামলা তদন্ত শেষে চলতি বছরের ১২ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
দুদকের আইনজীবী কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাবলু সারাবাংলাকে জানান, সোমবার রাতে নগরীর ডবলমুরিং এলাকা থেকে পুলিশ শাহনাজ পারভীনকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।