ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্ভাব্য গোপন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দলটির সভাপতি মো. শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এক যৌথ বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানান।
তারা বলেন, ‘বাণিজ্যের নামে কোনো গোপন চুক্তি চলবে না। দেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া মার্কিন শর্তাবলি একপ্রকার অর্থনৈতিক উপনিবেশবাদের প্রতিফলন।’
সিপিবি নেতারা অভিযোগ করেন, ইউএসটিআরের (যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য প্রতিনিধি) পাঠানো একটি চিঠির অস্তিত্ব একটি পত্রিকার মাধ্যমে জানা গেলেও সরকার এখনো তা প্রকাশ করেনি। তারা সরকারের কাছে ওই চিঠি ও চুক্তির খসরা প্রকাশের দাবি জানান।
নেতারা বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই গোপন চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে চীনা পণ্য বর্জন, সামরিক সরবরাহে মার্কিন নির্ভরতা বাড়ানো এবং ডিজিটাল নীতিতে হস্তক্ষেপ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীন নীতিনির্ধারণ ক্ষমতাকে ক্ষুণ্ন করতে চাইছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গোপন চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে এক ধরনের পরাধীনতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই চুক্তি বহুমুখী বৈদেশিক নীতির পরিপন্থী এবং গণতন্ত্র ও স্বচ্ছতা লঙ্ঘন করছে।’
সিপিবি নেতারা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের এই ধরনের চুক্তি করার কোনো সাংবিধানিক অধিকার নেই।’
তারা বলেন, ‘৩৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রফতফানি খাত পোশাক শিল্পকে ধ্বংস করতে পারে। যা ৪০ লাখ শ্রমিকের জীবিকা এবং ৮৬৯ কোটি ডলারের বৈদেশিক আয় ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে। অপরদিকে জিএমও পণ্য আমদানির শর্ত কৃষিতে খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষকের টিকে থাকার ক্ষমতাকে ধ্বংস করবে।’
বিবৃতিতে সিপিবি নেতারা দেশবাসীকে ‘জাতীয় স্বার্থবিরোধী যেকোনো গোপন চুক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়ানোর’ আহ্বান জানান।