বাগেরহাট: বাগেরহাটে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে খাদ্য গুদাম পরিদর্শক অচীন কুমার দাসের ২ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গেল আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে অচীন কুমার দাস তার নাম, মায়ের নাম এবং দুই স্ত্রীর নামে বিভিন্নভাবে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন। অচীন কুমার দাস আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য মীর শওকাত আলী বাদশার ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাতে বাগেরহাট দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জেলা কার্যালয় বিষয়টি নিশ্চিত করে।
বাগেরহাট দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান জানান, খাদ্য পরিদর্শক অচীন কুমার দাসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে ২০২৪ সালের শেষের দিকে বাগেরহাট দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা কার্যালয়ে অভিযোগ আসে। এরপর দুর্নীতি দমন কমিশন অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য অনুসন্ধান শুরু করে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে অচীন কুমার দাস ও তার মা কল্পনা রানী দাস ও প্রথম স্ত্রীর পরিবার কল্যাণ সহকারী সংগীতা সেন, দ্বিতীয় স্ত্রী ও যুব মহিলা লীগের জেলা সহ-সভাপতি ঝিমি মলের জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রাখার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। তাদের নামে অর্জিত সম্পদসমূহ বেহাত করার চেষ্টায় তাদের নামে থাকা সম্পদ জব্দ এবং অবরুদ্ধকরণ করার জন্য বাগেরহাট সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতে আবেদন করে দুদক।
তিনি আরও জানান, ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত অচীন কুমার দাসের নামে অর্জনকৃত খুলনার বটিয়াঘাটা, বাগেরহাট পৌরসভার সরুই ও সদরের খলসী পাঁচলী এলাকায় জমি ও বাড়িসহ প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যের সম্পদের ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত।