ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘অভিশপ্ত নৌকা প্রতীককে আপনারা কোন বিবেচনায় আবার শিডিউলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠালেন? সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই গণঅভ্যুত্থানকে আপনারা জাস্ট বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালেন। কাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এবং কাদেরকে দেওয়ার জন্য এই মার্কা রাখছেন আপনারা?’
উপদেষ্টা মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।
তার এমন বক্তব্যের পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ‘নৌকা’ প্রতীকটি ওয়েবসাটই থেকে সরিয়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (১৬ জুলাই) ইসি সচিব আখতার আহমেদ বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, কমিশনের নির্দেশেই দলটির প্রতীক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তবে এর আগে, গত রোববার (১৩ জুলাই) আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকলেও নৌকা প্রতীক তালিকায় বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ। তিনি জানান, প্রতীক কখনও নিষিদ্ধ হয় না। দল বিলুপ্ত ঘোষণা করলেও প্রতীক সংরক্ষণে রাখা হয়, প্রতীকের মালিক নির্বাচন কমিশন।
প্রতীক ইসির সংরক্ষণে থাকে জানিয়ে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল বিলোপ ঘটলেও (ডিজল্ভ) তার প্রতীক নিয়ে প্রশ্ন উঠে না।
তিনি বলেন, ‘পার্টি বিলোপ হলেও প্রতীক ইসির কাছে থাকবে; এটা আবার আরেকজনের নামে এলটমেন্ট করবে। আমরা প্রতীক বাদ দিব না।’
নৌকা প্রতীকও ইসির প্রতীক তালিকা থেকে বাদ না দেওয়ার যুক্তি তুলে ধরে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমাদের অবস্থান আইনের অবস্থান। ফ্রিডম পার্টি বোধহয় এখন অস্তিত্ব নেই; কিন্তু প্রতীক থাকবে। প্রতীকের মালিক নির্বাচন কমিশন। আমরা এলট করি, দলটির নামে এলট হয়ে গেলে তা ব্যবহার করবে। পার্টি ডিজলভ যদি হয়, প্রতীক ডিজলভ হবে না। এটা লজিক্যাল।’
উল্লেখ্য, এ বছরের ১২ মে আওয়ামী লীগ এবং তাদের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। একইসঙ্গে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। এরপর প্রতীকের তালিকা থেকে নৌকা বাদ দেওয়ার দাবি তোলে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।