কিউবায় ভিখারির অস্তিত্ব নেই বলে মন্তব্য করায় দেশটির শ্রমমন্ত্রী মার্তা এলেনা ফেইতো কাব্রেরা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। পার্লামেন্টে দেয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘কিউবায় ভিখারি বলে কিছু নেই, যারা রাস্তা থেকে ময়লা কুড়াচ্ছেন, তারা মূলত সহজে অর্থ উপার্জনের জন্য এটি করছেন।’
তার এই বক্তব্য দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, দেশ-বিদেশের কিউবানদের মধ্যে নিন্দার ঝড় ওঠে। এমনকি কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াজ-কানেলও তার বক্তব্যের পরোক্ষ সমালোচনা করেন। সমালোচনার মুখে কাব্রেরা পদত্যাগপত্র জমা দেন, যা কিউবান কমিউনিস্ট পার্টি ও সরকার গ্রহণ করে।
কিউবা বর্তমানে চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে, যার ফলে দারিদ্র্য, খাদ্যসংকট এবং বেকারত্ব ক্রমেই বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে কাব্রেরার মন্তব্য জনগণের দুঃখ-দুর্দশার প্রতি সরকারের উদাসীনতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়েছে।
তিনি জাতীয় সংসদের এক অধিবেশনে বলেন, ‘কিউবায় কোনো ভিখারি নেই। কিছু মানুষ শুধু ভিখারির ভান করছে সহজে টাকা কামানোর জন্য।’
তার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কিউবান অর্থনীতিবিদ পেদ্রো মনরেয়াল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, ‘তাহলে নিশ্চয়ই কেউ কেউ মন্ত্রীর ছদ্মবেশও ধারণ করেছেন।’
এছাড়া মন্ত্রী আরও দাবি করেন, যারা ময়লা ঘেঁটে কিছু খুঁজছেন, তারা মূলত রিসাইক্লিং সেবায় অবৈধভাবে অংশগ্রহণকারী।
তীব্র সমালোচনার মুখে দেশটির একদল বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজ কর্মী খোলা চিঠিতে তার অপসারণ দাবি করেন। তারা বলেন, এই বক্তব্য কিউবার সাধারণ জনগণের প্রতি এক চরম অবমাননা।