ঢাকা: রাজধানী পুরান ঢাকা জজকোর্টের এক আইনজীবির কক্ষে বাদল হোসেন মোল্লা (২১) নামে এক আসামি নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।
বুধবার (১৬জুলাই) দুপুর ১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় তাকে স্বজনরা ও পুলিশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে।
আহত বাদলের বাবা আব্দুল আলী জানান, তাদের বাড়ি শরিয়তপুর ভেদরগঞ্জ থানার মহিষা গ্রামে। কদমতলির জুরাইন মদিনা মসজিদ এলাকায় থাকেন তারা। গত তিন বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক করে জুরাইন এলাকার আরফান মিয়ার মেয়ে আদ্রিতাকে বিয়ে করেন বাদল।
বাদলের বাবা জানান, বিয়ে মেনে না নিয়ে বাদলের বিরুদ্ধে কদমতলি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা করেন। মামলার পরপরই ছেলে বাদলকে দুবাই পাঠিয়ে দেই। ১১মাস পর দেশে আসলে থানা পুলিশ বাদলকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়। আজকে আদালতে বাদলের জামিন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার জামিন স্থগিত হয়ে যায়। পরে আদালতে আইনজীবির কক্ষে গিয়ে তার কাছে থাকা ব্লেড দিয়ে গলা কেটে ফেলে।
আব্দুল আলী অভিযোগ করে বলেন, বাদলের শ্বশুর বাদলকে ব্লেড দিয়েছে। পরে তাকে আদালতের পুলিশের সহায়তায় প্রথমে সালাউদ্দিন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, আদালত থেকে এক আসামি আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তাকে নাক কান গলা বিভাগে পাঠানো হয়েছে।