ঢাকা: গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীদের ওপর হামলায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার না করলে ফের শাহবাগ ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকাল পৌঁনে ৬টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে ব্লকেড শেষ করার আগে এ আল্টিমেটাম দেন তিনি।
আবু বাকার মজুমদার বলেন, ‘গোপালগঞ্জে জুলাই বিপ্লবীদের ওপর হামলা হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের প্রকাশ্য মহড়া প্রত্যক্ষ করেছি। রাষ্ট্রীয় প্রশাসন জুলাই বিপ্লবীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আমরা গভীরভাবে হতাশ। আমরা মনে করি আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও খুনিদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং বাংলাদেশ পুনর্গঠনের সংগ্রামে ছাত্র ও জনতার পক্ষ থেকে আমরা সদা মাঠে থাকবো।’
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় না আনা হয়, তাহলে ছাত্র-জনতা আবারও কোটা আন্দোলনের মতো কঠোর কর্মসূচি ও নতুন করে ব্লকেড দিতে বাধ্য হবে।’
বাকের আরও বলেন, ‘গোপালগঞ্জে হামলাকে কেন্দ্র করে সারাদেশের বিভিন্ন সড়কে ব্লকেড কর্মসূচি চলমান ছিল, যা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। তাই আমরা আপাতত অবরোধ প্রত্যাহার করছি। তবে আওয়ামী লীগের খুনিদের বাংলাদেশ থেকে চিরতরে বিতাড়িত করার লক্ষ্যে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে, এজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আবার রাস্তায় নেমেছে। তারা আবার আমাদের ভাইদের ওপর হামলা করে। আমরা জুলাইয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, ফ্যাসিবাদের দোসরদের জেলে ভরবো।কিন্তু সরকার আমাদের আশাহত করেছে। এ সরকার ছাত্রজনতার আশা আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করে নাই। যার ফলাফল, আজকে ছাত্রজনতা মার খাচ্ছে।’
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমরা অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছি। আপনাদের মধ্যে সেই আশা-আকাঙ্খার কোনো প্রতিফলন আমরা দেখি নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি এখনো খুনীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদেরকে বরং জুলাইয়ের এক বছর পরও শেল্টার দেওয়া হচ্ছে। তাই, যারা আবার ফ্যাসিবাদকে প্রতিষ্ঠা করতে চাই, তাদের ঠিকানা এ বাংলায় হবে না।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, ‘যে আকাঙ্খা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় বসেছে তারা কোন কিছু বাস্তবায়ন করতে পারে নাই। তাই, যে অঙ্গীকার নিয়ে বসেছেন সেটা বাস্তবায়ন করুন। আপনারা যদি জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা দিতে না পারেন, তাহলে এক মিনিট ও ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।’